দেবাশিস সেন, অ্যান্টিগা: ম্যাচের আগের দিন ঐচ্ছ্বিক প্র্যাকটিস রাখা হয় ভারতের (India)। শুক্রবারও তাই ছিল। আগের দিন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি এয়ারপোর্ট চলে যান রোহিত শর্মারা। টিম অ্যান্টিগা পৌঁছায় রাতে দেড়টার কাছাকাছি।
এমনিতে এখানে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা সেটা হল লজিস্টিক। লাগেজ নিয়ে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হয়। রবি শাস্ত্রীর যেমন এদিন রাত পর্যন্ত লাগেজ আসেনি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের লাগেজ পৌঁছতেও বেশ দেরি হয়। একে তো ম্যাচ, তার উপর ট্র্যাভেলের ধকল। ফলে এদিন ট্রেনিংয়ে কারা আসবেন, সেটা নিয়ে ধেঁায়াশা ছিল। তবে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজারা চলে আসেন। আর প্র্যাকটিসে পুরো ফোকাসটাই ছিল বিরাটের উপর।
[আরও পড়ুন: এমবাপের অনুপস্থিতিই ফ্যাক্টর! একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ডাচদের কাছে আটকে গেল ফ্রান্স]
এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে চেনা ফর্মের বিরাটকে দেখা যায়নি। সেটাই হয়তো কিং কোহলির খিদে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সবার আগে ব্যাট করতে ঢুকলেন। সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা। রোহিত আর কোচ রাহুল দ্রাবিড় গেলেন মাঠ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে। উইকেট শুরু দিকে ঢাকা ছিল। তবে যা শোনা যাচ্ছে, তাতে এখানেও উইকেট ব্যাটিং-ফ্রেন্ডলি হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে এখন আর আগের মতো গতিময় উইকেট হয় না। বরং বাইশ গজ বেশ স্লো। অ্যান্টিগাতেও সেরকমই হওয়ার সম্ভাবনা। অর্থাৎ স্পিনাররা সাহায্য পাবে। সেক্ষেত্রে বোলিং অ্যাটাকে মনে হয় না খুব একটা বদল হবে। তিন স্পিনারেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শনিবার নামতে চলেছে ভারত।
আলোচনা শুধু একটা জায়গা নিয়ে। শিবম দুবে ইউএসএ ছাড়া অন্য আর কোনও ম্যাচে রান পাননি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে যান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সঞ্জু স্যামসনকে খেলানোর একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কারণ পরের ম্যাচই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। অনেকের মনে হচ্ছে, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় যদি সঞ্জুকে খেলানোর ব্যাপারটা থাকে, তাহলে হয়তো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হবে। তবে সঞ্জু একান্তই খেললে, তঁার ব্যাটিং অর্ডার কী হতে চলেছে, সেটা বড় প্রশ্ন!
যাই হোক, আবার বিরাটে ফেরা যাক। এদিন আধঘণ্টা নিবিড় ব্যাটিং অনুশীলন চালিয়ে গেলেন কোহলি। শেষে আবার রেঞ্জ হিটিংয়ের মহড়া চলল। সঙ্গে রোহিত। ইদানীং কালে ভারত বনাম পাকিস্তানের পর যে ম্যাচটা সবচেয়ে উত্তেজনা ছড়ায়, সেটা হল ভারত-বাংলাদেশ। ম্যাচের দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। দু’দেশের সমর্থকদের বাকযুদ্ধ পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে। গত কয়েক বছর ধরেই তা চলে আসছে। তবে এখানে অবশ্য পরিবেশটা সম্পূর্ণ অন্য। আসলে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারটা বাংলাদেশকে খুব চাপে ফেলে দিয়েছে। শুধু হার বললে বোধহয় ভুল বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। শনিবার হারলে কার্যত বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবে তারা।
তবে প্রতিপক্ষকে নিয়ে রোহিতরা অবশ্য খুব একটা ভাবতে চান না। বরং আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যেরকম নিখঁুত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে টিম, সেটাই ধরে রাখতে চাইছে ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতলে শেষ চারে রাস্তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। শনিবার সেই লক্ষ্য নিয়েই নামছে রোহিতের টিম ইন্ডিয়া।