রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: পিচ নিয়ে সিএবি বনাম ধারাভাষ্যকার বিতর্কে নতুন মোড়। ইডেনে নাইটদের আর কোনও ম্যাচে ধারাভাষ্য দিতে আসবেন না হর্ষ ভোগলে। সাইমন ডুলের ক্ষেত্রেও একই পরিণতি হতে পারে। তবে তাঁর বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়। যদিও ফাইনাল বা প্লে অফের একটি ম্যাচ হবে ইডেনে। সেখানে হর্ষরা আসতে পারবেন কি না, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, হর্ষদের মন্তব্যের পরপরই সিএবি’র তরফ থেকে ভারতীয় বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। যাতে ইডেনে হর্ষদের কমেন্ট্রি করতে না দেওয়া হয়।
সোম-সন্ধ্যায় গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে নাইটদের মহা মোকাবিলা। একদিকে প্লে অফের লড়াইয়ে রাহানেদের ভেসে থাকার যুদ্ধ। অন্যদিকে সমান্তরালভাবে আরও একটি যুদ্ধ চলছে। ঘটনার সূত্রপাত আইপিএলের শুরুর দিন থেকেই। আরসিবি'র কাছে হারের পরই ইডেনে ঘূর্ণি পিচের আবেদন করেছিলেন নাইট অধিনায়ক রাহানে। সেটা আবার প্রত্যাখ্যান করেন পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়। স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছিলেন, তিনি যতদিন দায়িত্বে থাকবেন, ততদিন ইডেনে পুরোদস্তুর ঘূর্ণি পিচ দেওয়া সম্ভব নয়।
নাইট শিবিরে এই নিয়ে যত বক্তব্যই থাকুক না কেন, তাদের থেকেও বেশি সোচ্চার হয়েছিলেন দুই ধারাভাষ্যকার- হর্ষ ভোগলে ও সাইমন ডুল। হর্ষর বক্তব্য ছিল, হোম অ্যাডভান্টেজ দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। অন্যদিকে সাইমন ডুল তো বলেই দিয়েছিলেন, ঘরের মাঠ বদলে ফেলুক কেকেআর। এই মন্তব্য একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি সিএবি। বিসিসিআই'কে চিঠি লিখে তারা জানান, কিউরেটরকে নিয়ে মন্তব্য আসলে ক্রিকেট সংস্থারই অপমান। ফলে এই দুই ধারাভাষ্যকারকে যেন ইডেনে আর কমেন্ট্রি করতে না দেওয়া হয়।
গুজরাটের ম্যাচে দুজনের কেউই নেই। কিন্তু শুধু এই ম্যাচে নয়, ইডেনে নাইটদের আর কোনও ম্যাচেই থাকবেন না হর্ষ। ডুলের বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে একটা প্রশ্ন থাকছেই, প্লে অফের একটি ম্যাচ ও ফাইনাল হবে ইডেনে। সেটার দায়িত্বে কেকেআর নয়। খোদ বিসিসিআই। নাইটরা সেখানে খেলবেন কি না, তারও নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে সেখানে দুই ধারাভাষ্যকার থাকবেন কি না, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে।
