সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লর্ডস টেস্টে লড়াই করেও হার এড়াতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা সময় ১১২ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে চূড়ান্ত চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে প্রথমে জশপ্রীত বুমরাহ, পরে মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন রবীন্দ্র জাদেজা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ২২ রানে হেরে বসে ভারত। এই পরিস্থিতিতে রবীন্দ্র জাদেজার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বলবিন্দর সিং সান্ধু। তাঁর অভিযোগ, টেলএন্ডারদের প্রতি আস্থার অভাব ছিল জাদেজার।
তিনি মনে করেন, হয়তো আউট হয়ে যাওয়ার ভয় জাদেজাকে তাড়া করেছিল। অথবা টেলএন্ডারদের উপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারেননি তিনি। সান্ধুর কথায়, "জাদেজা এমন একজন, যাকে আমি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে অনূর্ধ্ব-১৯ খেলার দিন থেকেই চিনি। তখন নিজেকে বয়সের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ও খুবই বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। চাপের মধ্যে শান্ত থাকতে জানে। কিন্তু এবার হয়তো আউট হয়ে যাওয়ার ভয় ওকে তাড়া করেছিল। টেলএন্ডারদের প্রতি আস্থার অভাবই ডোবাল জাদেজাকে।"
৬৮ বছর বয়সি প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের সংযোজন, "ও যদি বুমরাহর আরও একটু আস্থা রাখত! বিশেষ করে অসাধারণ ডিফেন্স করছিল বুমরাহ। চতুর্থ বলে ও যখন স্ট্রাইক পাচ্ছিল, সেই সময় বিপক্ষ বোলারদের দুর্দান্তভাবে সামাল দিচ্ছিল। কিন্তু জাদেজা যদি শেষ দু'টি বল নিজে স্ট্রাইকে থাকত, তাহলে ভালো হত। কারণ ওই সময় ফিল্ডাররা সব কাছাকাছি ছিল। তাই স্ট্রাইকে থেকে আগ্রাসী শট খেললে দলেরই কাজে লাগত।"
উল্লেখ্য, জাদেজার ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তাছাড়াও তাঁর অতি রক্ষণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অনিল কুম্বলেও। এই অলরাউন্ডারের আরও ঝুঁকি নেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রাক্তন লেগস্পিনার। যদিও অধিনায়ক শুভমান গিল এবং সুনীল গাভাসকর জাদেজার পাশেই ছিলেন।
