সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলীপ ট্রফিতে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হলেন মহম্মদ শামি। দলীপ ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যয়বহুল স্পেল করে ফেললেন তিনি। ন'মাসেরও বেশি সময় পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে এসে দাগ কাটতে ব্যর্থ হলেন। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে বিশেষ নজিরও গড়ে ফেললেন উত্তরাঞ্চল বোলার আকিব নবি।
প্রথম দিন ১৭ ওভার বল করলেও পেয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট। দেন ৫৫ রান। অর্থাৎ রান দেওয়ার দিক থেকে তিনি যথেষ্ট কৃপণ হলেও তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি উইকেট আশা করেছিল পূর্বাঞ্চল। টেল এন্ডার ব্যাটার সাহিল লোথারাকে আউট করেছেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় দিন শামিকে রেয়াত করেননি উত্তরাঞ্চল ব্যাটাররা। শুক্রবার ৬ ওভারে তিনি দিলেন ৪৫ রান। সব মিলিয়ে ডানহাতি এই পেসার ২৩ ওভারে খরচ করেন ১০০ রান। ইকোনমি রেট ৪.৩৪। শামি ব্যর্থ হলেও উজ্জ্বল ছিলেন তাঁর সতীর্থ মনীষী। তিনি ১১১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো খাবি খায় পূর্বাঞ্চল। মাত্র ২৩০ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। ভারতীয় দলের দুই পেসার অর্শদীপ সিং এবং হর্ষিত রানা ছিলেন উত্তরাঞ্চলে। অর্শদীপ নিলেন ১ উইকেট। রানা ফেরান পূর্বাঞ্চলের দুই ব্যাটারকে।
উত্তরাঞ্চলের আরেক বোলার আকিব নবি ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নজির গড়েন। দলীপ ট্রফিতে হ্যাটট্রিক করে তৃতীয় বোলার হিসেবে কপিল দেবের সঙ্গে এক সারিতে বসলেন আকিব। বিরাট সিং, মনীষী এবং মুখতার হুসেনকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। পরের ওভারের প্রথম বলেই সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালকে আউট করে চার বলে চার উইকেটও তুলে নেন। তাঁর আগে দলীপ ট্রফিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কপিল দেব (১৯৭৮-৭৯) এবং সাইরাজ বাহুতুলের (২০০১)।
দলীপ ট্রফিতে অন্য ম্যাচে অভিষেকেই ইতিহাস গড়েন দানিশ মালেওয়ার। শুক্রবার মধ্যাঞ্চলের হয়ে দ্বিশতরান হাঁকালেন ২১ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। প্রথম দিনের শেষে ১৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ডবল সেঞ্চুরি করতে দ্বিতীয় দিন বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। ২০৩ রানে থামে তাঁর ইনিংস। ৪ উইকেটে ৫৩২ রানে ডিক্লেয়ার করেন তাদের অধিনায়ক রজত পাতিদার। জবাবে উত্তর-পূর্ব ১৬৮ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছে।
