রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলাদেশ ক্রিকেটে ডামাডোল লেগেই রয়েছে। টানা ব্যর্থতায় জেরবার টাইগাররা। এর মধ্যেই ফের নেতৃত্ব নিয়ে গোলযোগ। যা পরিস্থিতি, তাতে বাংলাদেশের অধিনায়কের আসনে রদবদল হতে চলেছে। নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেই দায়িত্ব ছাড়তে চান বলেই খবর। তবে তাঁকে সব ফরম্যাট থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় বিসিবি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ অতীত। তার পর শান্তরা যেখানেই নেমেছেন, সেখানেই হার ছাড়া কিছুই জোটেনি। ভারতের মাটি থেকে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুটি সিরিজেই চুনকাম ফিরেছে। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও প্রথম টেস্টে হার। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ টাইগাররা। প্রশ্ন উঠছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে। তবে জানা যাচ্ছে, শান্ত নিজেই চাইছেন নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে।
এমন নয় যে, টানা হারেও বিসিবি শান্তকে সরিয়ে দিতে ইচ্ছুক। বোর্ডের একাংশ চাইছে শান্ত অধিনায়ক থাকুক। অন্তত টেস্ট ও ওয়ানডেতে দায়িত্ব তাঁর হাতেই থাকুক। তার মধ্যে সামনের বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু বিকল্প বেছে রাখছে বিসিবি। সেক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব যেতে পারে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে। অন্যদিকে টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হতে পারেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
কোনও কিছুই যদিও চূড়ান্ত নয়। সম্ভাবনায় আসছে আরেকটি বিষয়ও। বোর্ড চাইছে শান্ত ওয়ানডে অধিনায়ক থাকুক। বাকিটা ভেবে দেখা যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর। তার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরও আছে। যদি কোনও পরিবর্তন আসেও, সেটা তার আগে দেখা যাবে বলেই খবর।
তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শান্তর থাকা নিয়ে প্রশ্ন অনেকদিন থেকেই। আদৌ তিনি টি-টোয়েন্টিতে মানানসই কিনা, সেটাও চর্চায়। তার উপর শান্ত অধিনায়ক। ফলে তাঁকে দলে রাখা হলে, সেটাও যেমন সমস্যার। তেমনই বাদ দিলে তো নেতৃত্ব নিয়েও টানাটানি পড়বে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেকগুলো সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে হচ্ছে বিসিবি-কে। তবে সবকটা প্রশ্নের উত্তরই মিলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের পর।