সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিচেল স্টার্কের দাম উঠেছিল ২৪.৭৫ কোটি। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের পকেটে ঢুকেছিল ২০ কোটিরও বেশি। মঙ্গলবারের নিলামে ক্যামেরন গ্রিন এর থেকেও বেশি দাম পেতে পারেন। কিন্তু দাম যতই উঠুক না কেন, ১৮ কোটি টাকার বেশি পাবেন না অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার। কিন্তু এমন নিয়ম কেন?
অতীতে আইপিএলের মিনি নিলামে বিরাট দর হাঁকাহাঁকির সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেটবিশ্ব। মিনি অকশনেই ২৪.৭৫ কোটি দাম পেয়েছিলেন স্টার্ক। কিন্তু গতবছর থেকেই নিলাম সংক্রান্ত নিয়মে বেশ কিছু বদল এনেছে বিসিসিআই, যেন কোনও ক্রিকেটারই মাত্রাছাড়া মূল্য না পান। গতবছর নিলামের আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলতে চাইলে তাঁদের মেগা অকশনেই নাম নথিভুক্ত করতে হবে। পরের বছর মিনি নিলামে তাঁরা নতুন করে নাম দিতে পারবেন না। তবে মেগা অকশনে বিক্রি না হলে ওই বিদেশি ক্রিকেটার ফের মিনি নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
এবছর বিদেশি ক্রিকেটারদের লাগামছাড়া দামে আরও রাশ টেনেছে বিসিসিআই। মিনি নিলামের আগে জানানো হয়েছে, বিদেশি ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ ১৮ কোটি টাকা দাম পাবেন। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চাইলে তার থেকেও বেশি দর হাঁকতেই পারে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের জন্য। শেষ পর্যন্ত যে ফ্র্যাঞ্চাইজি সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকবে, ক্রিকেটার সেই দলে যোগ দেবেন। কিন্তু অতিরিক্ত যে অর্থ, সেটা যাবে বিসিসিআইয়ের ওয়েলফেয়ার ফান্ডে। তবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
মঙ্গলবারের নিলামে যদি কোনও বিদেশি ক্রিকেটার ২০ কোটি টাকা দাম পান, তাহলেও তিনি হাতে পাবেন ১৮ কোটি। বাকি ২ কোটি চলে যাবে বিসিসিআইয়ের তহবিলে। আসলে মিনি নিলামে অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছেই বিপুল অর্থ থাকে যেকোনও একজন ক্রিকেটার কেনার জন্য। স্টার্ক-কামিন্সরা সেভাবেই আকাশছোঁয়া দর পেয়েছিলেন। বিসিসিআই চাইছে সেটা বন্ধ হোক। সেকারণেই বিদেশিদের উপর স্যালারি ক্যাপ বসানো হয়েছে এবার।
