সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮ বছর পর আইপিএল জিতেছে আরসিবি। কিন্তু বিরাট কোহলিদের বিজয় শোভাযাত্রায় বাধ সাধল বেঙ্গালুরু পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা ছিল, কর্নাটকের বিধান সৌধ থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত হুডখোলা বাসে বিজয় শোভাযাত্রা করবে আরসিবি। কিন্তু যানজটের দোহাই দিয়ে ওই শোভাযাত্রার অনুমতি বাতিল করল পুলিশ। ফলে বাসে চেপে শহর প্রদক্ষিণ করার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেল রজত পাতিদারদের।
১৮ বছর পরে অবশেষে ট্রফি জিতেছে আরসিবি। সেই সাফল্যে কর্নাটকজুড়ে উৎসবের আবহ। চ্যাম্পিয়ন হলে ‘আরসিবি ভক্তদের উৎসবে’র দিন ঘোষণা করা হোক, এই মর্মে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি লিখেছিল ভক্তকুল। যা অনেকটা কর্নাটক রাজ্যোৎসবের সমান। চিঠিতে ওই ভক্ত কর্নাটক সরকারকে লিখেছিলেন, একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হোক। যেটা প্রত্যেক বছর পালন করা হবে। তবে ছুটি ঘোষণা নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি।
তবে ছুটি ঘোষণা না হলেও আরসিবির জন্য বিরাট সেলিব্রেশনের আয়োজন করা হয়েছে কর্নাটকে। জানা গিয়েছিল, বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ হ্যাল বিমানবন্দরে নামবেন রজত পাতিদাররা। সেখান থেকে বিকেল চারটে নাগাদ তাঁরা পৌঁছবেন কর্নাটকের বিধান সৌধে। চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে সেখানে সাক্ষাৎ করবেন সিদ্দারামাইয়া। সম্মান জানানো হবে গোটা দলকে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সম্ভবত বিধান সৌধে থাকবেন বিরাটরা। সেখান থেকে চিন্নাস্বামীর দিকে রওনা দেবেন আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। ট্রফি নিয়ে হুডখোলা বাসে চেপে যাবেন বিরাটরা।
কিন্তু এই বিজয় শোভাযাত্রা ঘিরেই বিপত্তি। ট্রাফিক জ্যামের জন্য বেঙ্গালুরু বরাবরই কুখ্যাত। তার মধ্যে যদি আড়াই কিলোমিটার পথ ধরে বিজয় শোভাযাত্রা করে আরসিবি, তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকবে ওই রাস্তা। ফলে চাপ বাড়বে শহরের অন্য পথগুলিতে। এতকিছু মাথায় রেখেই বিজয় শোভাযাত্রায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফলে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিধান সৌধ থেকে সরাসরি চিন্নাস্বামী পৌঁছে যাবে দল। স্টেডিয়ামে বিরাট সেলিব্রেশন হবে বিরাটদের নিয়ে।
