সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় তাঁকে ভারতের নতুন তারকা বলে ধরা হত। তুলনা হয়েছিল শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গেও। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের মূল বৃত্ত থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছেন পৃথ্বী শ। মুম্বইয়ের রনজি দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। আইপিএলে দল পাননি। এবার কেরিয়ার বাঁচাতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন পৃথ্বী।
একসময় যাঁরা পৃথ্বীর সতীর্থ ছিলেন, তাঁদের অনেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলে তাঁর সতীর্থ শুভমান গিল এখন টেস্ট দলের অধিনায়ক। অর্শদীপ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন। কিন্তু পৃথ্বী যেন হারিয়েই গেলেন। এখন শোনা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের হয়ে আর ক্রিকেট খেলতে চাননি তিনি। অন্য কোনও রাজ্যের হয়ে খেলতে চান। সেই জন্য মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার থেকে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট'ও চেয়েছেন। এমসিএ'র এক কর্তা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, "আমরা দ্রুত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।"
জানা যাচ্ছে, অন্য দু-তিনটি রাজ্য দলের থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন পৃথ্বী। তবে কোন দলে যেতে পারেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। মুম্বই থেকে ছাড়পত্র এলেই সেই বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করতে পারেন। আসলে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গেও পৃথ্বীর সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে মুম্বইয়ের রনজি দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলার অভাব, ওজন নিয়ে সচেতনতার অভাবের মতো অভিযোগ ছিল।
এরপর আইপিএলে দল পাননি। বাদ পড়েছিলেন মুম্বইয়ের বিজয় হাজারে দল থেকেও। মুম্বইয়ের এক কর্তা তখন বলেছিলেন, “কেউ পৃথ্বীর শত্রু নয়। ও নিজেই নিজের শত্রু।” তিনি আরও বলেছিলেন, রাতভর পার্টি করে সকাল ৬টার সময়ে টিম হোটেলে ফিরতেন পৃথ্বী। অনুশীলনে আসতেন না। এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন মুম্বই টিমের সিনিয়ররাও। পৃথ্বীকে অবশ্য সম্প্রতি মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগে রানে ফিরেছেন। যদিও চেহারা দেখে মনে হয়নি, ফিটনেস নিয়ে খাটছেন।
