সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিডনিতে অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচ নিতে গিয়ে ভয়ানক চোট পেয়েছিলেন। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় শ্রেয়স আইয়ারকে। সেখানে আইসিইউ’তে পর্যন্ত রাখতে হয়েছিল এই তারকা ক্রিকেটারকে। সেই শ্রেয়স ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে তাঁকে পাওয়া যাবে না। যা খবর, তাতে তাঁকে নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নন ভারতীয় বোর্ডের চিকিৎসকরা। আরও দু'মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে শ্রেয়সকে। তাই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, একেবারে হয়তো আইপিএলে মাঠে ফিরবেন তিনি।
বিসিসিআইয়ের চিকিৎসকরা তাঁকে বেশি পরিশ্রম না করার পরামর্শ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে ইউএসজি হয়েছিল শ্রেয়সের। তাতে দেখা যায়, তারকা ক্রিকেটারের পেটের আঘাত এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি। তাই এই অবস্থায় মাঠে ফিরলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজনীয়। জানা গিয়েছে, দু'মাস পর তাঁর আরও একটা ইউএসজি হবে। তারপর রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে ট্রেনিং শুরু করার অনুমতি পাবেন।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, শ্রেয়সের রিহ্যাব বেশ সময়সাপেক্ষ। ফিটনেস ঠিক জায়গায় থাকলেই মাঠে ফেরার অনুমতি পাবেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর রিহ্যাব চলবে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে। এর অর্থ দক্ষিণ আফ্রিকা তো বটেই, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারবেন না শ্রেয়স। ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু কিউয়িদের বিরুদ্ধে সিরিজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে যথাক্রমে ১৪ এবং ১৮ জানুয়ারি। এই সিরিজের পর রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু এই ফরম্যাটে অনেকদিন সুযোগ পাননি তিনি। তাই মনে করা হচ্ছে, হয়তো আইপিএলে মাঠে ফিরবেন তিনি। পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক তিনি।
উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর সিডনিতে দুঃসাহসিক ক্যাচ নিতে গিয়ে ভয়ানক চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। যদিও উদ্বেগ কাটিয়ে আইসিইউ থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। প্লীহার ক্ষত ঠিক করতে বিশেষ এক পদ্ধতি অবলম্বন করে তাঁর চিকিৎসাও করেন চিকিৎসকরা। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ছয় সপ্তাহের জন্য ছিটকে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তাঁর যে সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়, তা পরিষ্কার। শোনা যাচ্ছে, শ্রেয়সের পরিবর্তে নির্বাচকরা তিলক বর্মাকে সুযোগ দিতে পারেন। হায়দরাবাদের এই ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই চার নম্বরে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে ফাইনালে ৬৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।
