সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার মহিলাদের বিশ্বকাপের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়েছে ভারত। এই ম্যাচে পাক ওপেনার মুনিবা আলির রান আউট নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। মাঠ ছেড়ে বেরতে চাননি তিনি। এমনকী ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে এসে পাক অধিনায়ক ফতিমা সানা চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এবার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে পাকিস্তান।
ঠিক কী হয়েছিল? পাকিস্তানের ইনিংসের চতুর্থ ওভার চলছে। বল করছিলেন ক্রান্তি গৌড়। তাঁর বল লাগে মুনিবার প্যাডে। লেগ বিফোরের আবেদন করেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার অবশ্য আউট দেননি। রিভিউও নেয়নি ভারত। কিন্তু সেখানেই থামেনি ঘটনা। দীপ্তি শর্মার নিখুঁত থ্রো উইকেট ভেঙে দেয়। যদিও ফিল্ড আম্পায়ার জানিয়ে দেন ক্রিজে ছিলেন পাক ব্যাটার।
বিতর্কের শুরু তার পরেই। মাঠের আম্পায়ারকে থামিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার। রিপ্লেতে দেখা যায়, মুনিবার ব্যাট ক্রিজের ভিতরে থাকলেও উইকেটে বল লাগার মুহূর্তে তাঁর ব্যাট ছিল হাওয়ায়। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত নেন। পাকিস্তানের রান তখন ৬। এমন সিদ্ধান্তের পর একেবারে হতবাক হয়ে যান মুনিবা। তাঁর দাবি ছিল, বলটা ডেড হয়ে গিয়েছে। তাই কোন যুক্তিতে তিনি আউট? এই সময় ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন পাক অধিনায়ক ফতিমা সানা। তিনি আম্পায়ারকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেননি।
প্রশ্ন হল, মুনিবার রান আউট নিয়ে কি আইসিসি'কে অভিযোগ জানাবে পাকিস্তান? পাক ওপেনারের সতীর্থ ডায়না বেগ বলেন, "আমার ধারণা, মুনিবার রান আউট নিয়ে সমস্যা ইতিমধ্যেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। এই বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। যাই ঘটুক না কেন, যে পরিস্থিতিই তৈরি হয়ে থাকুক না কেন, আমার মনে হয় এখন বিষয়টি মিটে গিয়েছে।"
এমসিসি'র ৩০.১.২ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যাটার দৌড়ান বা ডাইভ দেন, সেই সময় যদি একবার ব্যাট বা শরীর ক্রিজের মাটি স্পর্শ করে, তাহলে তিনি ক্রিজের ভিতরে বলেই গণ্য হবেন। এমনকী ওই সময় যদি ব্যাটার তাঁর ব্যাট বা পা কিছুক্ষণের জন্য তুলে নেন, তবুও আউট হবে না ব্যাটার। ঘটনাচক্রে মুনিবা ওই সময় ডাইভও দিচ্ছিলেন না বা দৌড়ে রানও নিচ্ছিলেন না। সেই কারণে আউট দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ক্রিকেটের নিয়ম অনুসারে, একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আম্পায়ার।
