সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ১৬১। এরপর এলিট ক্লাবে বসে পড়েছেন শুভমান গিল। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক সিরিজে সর্বাধিক রান করে ভেঙেছেন বিরাট কোহলির রেকর্ড। সঙ্গে গড়েছেন একাধিক নজির। গিলের এহেন ব্যাটিংয়ে মন্ত্রমুগ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। মন্ত্রমুগ্ধ কোহলি নিজেও। তিনি সোশাল মিডিয়ায় শুভমানকে 'স্টারবয়' বলে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
সচরাচর সোশাল মিডিয়ায় খুব একটা সক্রিয় থাকেন না কোহলি। কিন্তু গিলের এমন অনিন্দ্য সুন্দর ইনিংস দেখে চুপ থাকতে পারেননি তিনি। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে শুভমান গিলের ছবি দিয়ে কোহলি লেখেন, 'দুর্দান্ত খেলেছ স্টারবয়। এ যেন ইতিহাসেরই পুনর্লিখন। আরও উপরের দিকে এগিয়ে চলো। তুমি এই সবকিছুর যোগ্য।'
এজবাস্টনে জোড়া সেঞ্চুরি করে তিনি ভেঙেছেন সুনীল গাভাসকরের ৫১ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৭১ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি টেস্টে ৩৪৪ রান করেছিলেন সানি। আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে শুভমান করেছেন ৪৩০ রান। তাছাড়াও বিশ্বের একমাত্র ব্যাটার হিসাবে এক টেস্টে ডবল সেঞ্চুরি এবং দেড়শোর বেশি রান করার নজির গড়েছেন গিল। তাঁর আগে, ১৯৮০ সালে এক টেস্টে দুই ইনিংসে দেড়শোর বেশি রান করেছিলেন অ্যালান বর্ডার।
তাছাড়া রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন তেণ্ডুলকরের পর তৃতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে SENA দেশে এক ম্যাচে তিনশোর বেশি রান করলেন গিল। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ক্যাপ্টেন হিসেবে ৪৪৯ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি। ওই সিরিজের মাঝপথে অধিনায়ক হয়েছিলেন তিনি।
চার ইনিংসে এই রান করেছিলেন কোহলি। কিন্তু শুভমান কেবল এজবাস্টনেই করলেন ৪৩০। এর আগের টেস্টে করেছিলেন ১৫৫ রান (১৪৭+৮)। অর্থাৎ অধিনায়ক হিসেবে চার ইনিংসে তাঁর রান ৫৮৫। এক্ষেত্রে কোহলিকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছেন গিল। আর এতে প্রিন্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন স্বয়ং কিং। উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের সামনে ভারত লক্ষ্য রেখেছে পাহাড়প্রমাণ ৬০৮ রানের। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে ৭২ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে চাপে ইংল্যান্ড। পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডের জেতার জন্য দরকার ৫৩৬ রান। ভারতের প্রয়োজন ৭ উইকেট।
