সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারের আবু ধাবিতে বসতে চলেছে আইপিএলের মিনি নিলাম। মরুশহরের বুকে হতে চলা নিলামে ৩৬৯ ক্রিকেটারের নাম উঠতে চলেছে। নিঃসন্দেহে তাঁদের নিয়ে চলবে দর কষাকষি। নিলামকে আকর্ষণীয় করতে থাকছে টাইব্রেকার রুল। কোনও খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার ব্যাপারে দর কষাকষিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে টাই হয়ে গেলে তখন কাজে লাগবে এই নিয়ম।
কী রয়েছে বিসিসিআইয়ের এই নিয়মে? সেখানে পরিষ্কার বলা রয়েছে, কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে একাধিক (সংখ্যাটা দুইয়ের বেশিও হতে পারে) দল বিডিং করলে, তিনি কোন দলে যাবে তা নিষ্পত্তি হবে এই নিয়মের মাধ্যমে। ব্যাখ্যা করা যাক। ধরা যাক, কোনও ক্রিকেটারের নাম A। তাঁকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছে B এবং C ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। তাঁকে নেওয়ার জন্য দর হাঁকাহাঁকির মাঝে দেখা গেল দুই দলেরই পার্সে টাকা ফুরিয়ে গেল। তখন কাজ করবে এই নিয়ম।
কীভাবে? সেক্ষেত্রে দল B এবং দল C আর বিড করতে পারবে না। এরপর যদি তৃতীয় কোনও দল সেই খেলোয়াড়কে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী না হয়, তখন সক্রিয় হবে বিসিসিআইয়ের এই লুকোনো নিয়ম। এখানে কিছুটা ভূমিকা থাকছে নিলামদারেরও। তিনি প্রথমে বিড করা দলকে জিজ্ঞেস করবেন, তাঁরা আর A নামক খেলোয়াড়কে কিনতে চায় নাকি বিডিং ওয়ার থেকে বেরিয়ে যেতে চায়? পরিষ্কার হিসাব, তারা যদি ওই খেলোয়াড়ের জন্য দর হাঁকাতে চায় চায়, তাহলে হবে টাইব্রেকার। আর বিডিং ওয়ার থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে দল C পেয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে।
টাইব্রেকার হলে B এবং C দলকে চুপিচুপি একটা খাম দেওয়া হবে। সেখানে থাকা একটা কাগজে তারা লিখবে, ওই খেলোয়াড়ের জন্য তারা কত অতিরিক্ত টাকা দিতে চায়। ধরা যাক, দল B লিখল ৩ কোটি এবং দল C লিখল ৪ কোটি। তখন দল C পাবে A নামাঙ্কিত ক্রিকেটারকে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে (এই বছরেই এই নিয়ম চালু হয়েছিল) কায়রন পোলার্ড, শেন বন্ড কিংবা ২০১২ সালে রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও এমনই হয়েছিল।
