সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল ছুঁয়ে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। রবিবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর ল্যান্ডফলের কথা জানিয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দুর্যোগ এবং বিপর্যয় রুখতে সক্রিয় প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী সকলেই দুর্গতদের পাশে।
রাজ্য সরকারের তরফে আগেই দুর্যোগ মোকাবিলার যথাসম্ভব ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিপর্যয় এড়াতে সক্রিয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে গোটা বিষয়টি নজরে রেখেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। বুধবার সন্ধেয় রেমাল নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন মোদি।
[আরও পড়ুন: আয়লা-আমফান-ইয়াসের পর রেমাল, কেন মে মাসেই বাংলায় দুর্যোগের ঘনঘটা?]
এদিকে রাজভবনও (Raj Bhavan) দুর্যোগের দিনে সক্রিয়। বিপন্নদের জন্য রাতভর রাজভবনের দরজা খোলা। দুর্যোগ মোকাবিলায় টাস্কফোর্স গঠন রাজ্যপালের। ৮ সদস্যের টিম গড়লেন সিভি আনন্দ বোস। নজরদারিতে রাজভবনের আধিকারিকরা। রাজ্যপাল নিজেও রাত জেগে মানুষের সমস্যা শুনবে। এদিন সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক শেষে ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের ডিসপেনসারিতে সমস্ত রকম ওষুধ পাওয়া যাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা। সব রকমের জরুরি পরিষেবাও দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ঝড়-বৃষ্টি-জলোচ্ছ্বাসে ভুগবে বাংলা, দুর্যোগ কাটবে কবে?]
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রেমালের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির শুরু হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো বাতাস বইছে। সোমবার বেশি বৃষ্টি হবে নদিয়া মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলাতেও। উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার বিকেলের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন কলকাতায়। ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।