দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বাড়ি ভাড়া চাওয়ার অজুহাতে একাকী বৃদ্ধ দম্পতিকে বেঁধে রেখে লুটপাট। সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা এবং সোনার গয়নাও লুট করেছে। ব্যান্ডেলের (Bandel) এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
ব্যান্ডেলের বিক্রমনগরের বাসিন্দা দেবনারায়ণ দত্ত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক। ছেলে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। তাই স্ত্রীকে নিয়েই দোতলা বাড়িতে বাস তাঁর। নিচতলায় বরাবর ভাড়াটে থাকে তাঁর। তবে দিনকয়েক আগে ভাড়াটে অন্যত্র চলে যান। তাই নতুন ভাড়াটের খোঁজ করছিলেন দেবনারায়ণবাবু। বাড়ির বাইরে নোটিসও দিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধেয় এক যুবক কলিং বেল বাজান। দরজা খুলে দেন বৃদ্ধ। ভাড়াটে হিসাবে এই বাড়িতে থাকতে চায় বলে সে জানায়। শুরু হয় কথাবার্তা।
[আরও পড়ুন: Tsunami: জেগে উঠেছে সমুদ্রগর্ভের ‘ঘুমন্ত দানব’, সুনামির আশঙ্কায় কাঁটা আমেরিকা-রাশিয়া-সহ একাধিক দেশ]
ইতিমধ্যে ওই যুবক জানায়, সে জল খেতে চায়। তা শোনার পরই জল আনার জন্য পিছু ফেরেন বৃদ্ধ। অভিযোগ, পিছন দিক থেকে বৃদ্ধের মুখ চেপে ধরে যুবক। নিমেষেই বেঁধে ফেলা হয় তাঁকে। দেখানো হয় আগ্নেয়াস্ত্রও। এদিকে, স্বামীকে এই অবস্থায় দেখে হতচকিত হয়ে যান বৃদ্ধাও। তাঁকেও বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় লুটপাট। আলমারির লকার ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। নগদ এবং সোনার গয়না যা ছিল সবই লুট করে নিয়ে পালায় তারা। লুটপাটের পর আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করেই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।
দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার পরই চিৎকার করতে শুরু করেন বৃদ্ধ দম্পতি। প্রায় ৪০ মিনিট পর বাঁধন মুক্ত হন দু’জনে। প্রতিবেশীরাও চিৎকার শুনে দৌড়ে আসেন। এরপর চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ জানান বৃদ্ধ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও কাউকেই পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। পুলিশের ভূমিকাও বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে।