সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে গেলে ঘৃণাভাষণকে (Hate Speech) রুখতে হবে। সেটাই মৌলিক প্রয়োজনীয়তা। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক মামলায় এই বক্তব্য রাখে বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিচারপতি বিভি নাগরত্নের বেঞ্চ।
ঠিক কী জানিয়েছে শীর্ষ আদালত? এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ”সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ঘৃণাভাষণকে শেষ করতেই হবে। এক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরে দ্রুত তদন্ত করতে হবে।” মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ মার্চ অর্থাৎ বুধবার। এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে, ঘৃণাভাষণে এফআইআর দায়ের করার পর কী ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। কেননা ঘৃণাভাষণের মতো সমস্যাকে দূর করতে গেলে কেবল অভিযোগ দায়ের করাই সব নয়। এরপর তুষার জানান, ঘৃণাভাষণ নিয়ে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! রাজস্থানে একদিন আড়াই হাজার দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার, ২২৮ জন দাগি অপরাধী]
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ অক্টোবর শীর্ষ আদালত দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকারকে নির্দেশ দেয় ঘৃণাভাষণ দমনে কড়া হতে। কোনও অভিযোগ দায়ের হওয়ার আগেই এই সব ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার কথাও জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।