সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) ফের ইডি হেফাজত। গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৮ দিন সময় পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট শুক্রবার এই নির্দেশ দেয়।
গরু পাচার সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম (Birbhum) করিডর দিয়ে যে গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। তাই তাঁকে জেরা করলে একাধিক সূত্র সামনে আসতে পারে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডি’র নজরে রয়েছে সায়গলের বিপুল সম্পত্তি। বাড়ি, জমি মিলিয়ে সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। একজন কনস্টেবল পদে চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। এরপরই গ্রেপ্তার হন সায়গল হোসেন।
[আরও পড়ুন: ‘কালো টাকা সাদা করার পন্থা ডিয়ার লটারি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু, পালটা দিল তৃণমূল]
আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারেই ছিলেন সায়গল হোসেন। বারবার তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করে ইডি। সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। প্রথমদিকে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন সায়গল। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য শেষপর্যন্ত তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি। দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডিকে অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। তবে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়।
সেইমতো গত শুক্রবার, ২১ অক্টোবর রাতের ট্রেনে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় সায়গল হোসেনকে। ওইদিন তাঁকে ছোট প্রিজন ভ্যানে করে আসানসোল (Asansol) স্টেশনের পথে রওনা করানো হয়। সায়গলের নিরাপত্তায় ছিলেন একজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও পাঁচ সশস্ত্র পুলিশ কনস্টেবল। এরপর ২২ অক্টোবর, শনিবার বেলায় সায়গল হোসেনকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয়। ১৪ দিনের হেফাজতে চায় ইডি। কিন্তু বিচারক ৭ দিনের হেফাজতের অনুমোদন দেন। ইডি হেফাজত শেষে আজ আবারও সায়গলকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয়। বিচারক ৮ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।