সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবসার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। ২০২৫ সালের নথি তেমনই প্রমাণ দিচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় শিল্প মন্ত্রকের।
২০১০ সালের শুরুর দিকেও মানুষের মধ্যে ব্যবসা করার প্রতি এতটা উৎসাহ ছিল না। কিন্তু উল্টোদিকে, গত পনেরো বছরে মানুষের মধ্যে ব্যবসার ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র কয়েক বছর আগেও ১৯০টি দেশের মধ্যে ব্যবসা করার প্রবণতার নিরিখে ভারতের অবস্থান ছিল ১৮৪ নম্বরে। সাধারণ নির্মাণের জন্য অনুমতি পেতেও লাগত দীর্ঘ সময়। তবে রাতারাতি এই ম্যাজিক যে ঘটেছে এমন নয়। আসলে একটা মজার হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালে হঠাৎই ব্যবসার সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তার পিছনে রয়েছে একগুচ্ছ কারণ। প্রায় ১১ বছর ধরে আটকে থাকা বহু কাজ এক সঙ্গে সবুজ সংকেত পেয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে, অনেক দিনের আটকে থাকা অনুমতিপত্র, তেমনই রয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অনেক ব্যবসার মালিকানা। আবার 'গ্ল্যামারাস' নয়, এমন ব্যবসাকে ঢেলে সেজে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে, এমন ব্যবসাও রয়েছে এই নতুন ব্যবসার তালিকায়। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালটি সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে দেখা দিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় শিল্প মন্ত্রকের দাবি।
টেকনিক্যাল ভাষায় বলতে গেলে, চলতি বছরটি ব্যবসাকে 'সহজ' করার বদলে ব্যবসাকে 'মুক্ত' করেছে। ১৯৯১ সালকে যদি 'উদারীকরণের' বছর হিসাবে চিহ্নিত করা যায়, তা হলে ২০২৫ সালকে বলা উচিত 'বিনিয়ন্ত্রণের' বছর। বহু বছর ধরেই ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসার আকার ছিল ক্ষুদ্র। তবে নতুন করে যাঁরা ব্যবসায় আসছেন, তাঁরা সেই পুরনো খোলস ছেড়ে বৃহদাকারে ব্যবসাকে ভাবছেন বলেই শ্রমমন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীই ছোট আকারের ব্যবসাকে একশো কোটি টার্ন ওভারের ব্যবসায় নিয়ে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। ব্রিটেন, ওমান এবং নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে 'ফ্রি ট্রেডিং' চুক্তি হওয়ায় ব্যবসার ক্ষেত্র অনেকটাই বেশি উন্মুক্ত হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রের।
