সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক সরকারি অধিকারিকের বিরুদ্ধে। সে ভরতি রয়েছে হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল অভিযোগ করলেন, কিশোরী ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘গুন্ডাগিরি’র অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সারা রাত হাসপাতালেই কাটালেন তিনি। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে হাসপাতালের মেঝেয় তাঁর শুয়ে থাকার ছবি।
স্বাতীর প্রশ্ন কেন তাঁকে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, ”দিল্লি পুলিশ গুন্ডামি করছে। ওই মেয়েটি কিংবা তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি না দিল্লি পুলিশ আমার থেকে কী লুকোতে চাইছে। শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকেও তো দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে। তাহলে আমাকে দেখা করতে দেওয়া হবে না কেন?”
[আরও পড়ুন: সীমা হায়দারের পুনরাবৃত্তি? কোলের সন্তান নিয়ে স্বামীর জন্য ভারতে বাংলাদেশি যুবতী]
সোমবার দুপুর থেকে ওই হাসপাতালে রয়েছেন স্বাতী। তিনি জানিয়েছেন, যতক্ষণ না তাঁকে নির্যাতিতা কিংবা তার মায়ের সঙ্গে দেখা না করতে দেওয়া হচ্ছে, তিনি এখান থেকে যাবেন না। তিনি জানাচ্ছেন, ”আমি ওর থেকে জানতে চাইছি, ওকে ঠিকমতো সাহায্য করা হচ্ছে কিনা। ওর চিকিৎসা কীরকম হচ্ছে, তাও জানতে চাই।”
এদিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লি মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের প্রাক্তন আধিকারিক অভিযুক্ত প্রেমোদয় খাখাকে। তাঁকে চাকরি থেকেও বরখাস্ত করেছে কেজরিওয়াল সরকার। অভিযোগ, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে থাকাকালীন তিনি ওই কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ করেছিলেন। তাঁকে নির্যাতিতা ‘মামা’ বলে ডাকত বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তর স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করেছে।