সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে বিস্ফোরক কিছু তথ্য এল তদন্তকারীদের হাতে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। তবে এই বাসে দুর্ঘটনা (Accident) ঘটার আশঙ্কা ছিলই, এমনই শোনাচ্ছেন অভিজ্ঞরা। কারণ, বাসটি আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। ছিল না রাস্তায় নামার অনুমতি। তা সত্ত্বেও যাত্রী বোঝাই করে তা চলাচল করছিল। বাস মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর।
রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ খুলনার সোনাডাঙা থেকে ছেড়েছিল বাসটি। গন্তব্য ছিল ঢাকা। কিন্তু সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পদ্মা সেতুতে (Padma Bridge) ওঠার আগে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। সঙ্গে সঙ্গে রেলিং ভেঙে তা নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে আরও বেশ তিনজন প্রাণ হারান। এখনও চিকিৎসাধীন অন্তত ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।
[আরও পড়ুন: মহাপ্রভু চৈতন্যের টানে মায়াপুরে অখিলেশ যাদব, ‘রাজনীতি চাই না’, বার্তা ইসকন কর্তৃপক্ষের]
দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে একাধিক তথ্য এসেছে। এই বাসটি আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। গত বছরের নভেম্বর মাসে গোপালগঞ্জ সদরে ট্রাকের পিছনে বাসটি ধাক্কা দিলে ৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে ফিটনেস সার্টিফিকেট (Fitness Certificate) পেয়েছিল বাসটি। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর তা পুনর্নবীকরণ (Renew)করতে হয়। কিন্তু এবছরের জানুয়ারি মাসের পর তা রিনিউ করানো হয়নি। হিসেবমতো, ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলে বাস রাস্তায় নামানো যায় না। কিন্তু এই বাসটি অনুমতিবিহীন অবস্থাতেই যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছিল। ফলে যা ঘটার তাই, দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলা ভাষা বিলুপ্তপ্রায়’, ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে ছাঁটাইয়ের চিঠি শিক্ষিকাকে, তুঙ্গে বিতর্ক]
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (BRT) মতে, এ ধরনের বাস রাস্তায় নামলেও পুলিশি নজরদারি ছাড়া তা জানা সম্ভব নয়। তাই এ ব্যাপারে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে বাসের মালিককে খুঁজে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে চায় বিআরটি।