সুকুমার সরকার, ঢাকা: ২০২২ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে। সবার আগে বানানো হবে ডিপো। তারপর পর্যায়ক্রমে পাতাল রেলের পথ, স্টেশন-সহ অন্যান্য কাঠমো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ২০২৬ সালে পাতাল রেলে যাত্রী পরিবহণ শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর তা তৈরি হলে প্রতিদিন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক। ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, “১২টি প্যাকেজের আওতায় MRT-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম পাতাল রেলের পথের নির্মাণকাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও অন্যান্য কাঠামো তৈরি করা হবে। এ জন্য দরপত্র দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে।” আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তার ছ’মাসের মধ্যে ঢাকার সামান্য দূরে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপো নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই বাংলাদেশের, অনুমোদন পেল দেশীয় টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’]
এম এ এন ছিদ্দিক জানান, এই রেল লাইনের দু’টি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে। ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশ নির্মাণ করা হবে। যার দৈর্ঘ্য ১৯.৮৭ কিলোমিটার। আর কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে উড়ালপথ। যার দৈর্ঘ্য ১১.৩৬ কিলোমিটার।
ঢাকায় পাতাল রেলের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের এমডি। তিনি বলেন, প্রতিটি ট্রেনে আটটি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে একসঙ্গে ৩ হাজার ৮৮ যাত্রী পরিবহণ করা যাবে। পুরো লাইনটি দিয়ে প্রতিদিন ৮ লক্ষ যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব হবে। রেললাইনটি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ঢাকা ও তার আশপাশে ছ’টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তার মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার উড়ালপথে মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যা লাইন-৬ নামে পরিচিত।