সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিশঙ্কু মেঘালয়ে (Meghalaya) কি নতুন খেলা? এনপিপি-বিজেপিকে সরকার থেকে দূরে রাখতে সব বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা শুরু করে দিল তৃণমূল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি আসন পেলেও মেঘালয়ের স্বার্থে এনপিপি-বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে চায় তৃণমূল। বিজেপি এবং এনপিপি (NPP) ছাড়া সব বিরোধী দল সেই লড়াইয়ে শামিল হবে।
৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় ৫৯ আসনে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ আসন পেয়েছে কনরাড সাংমার এনপিপি। দ্বিতীয় স্থানে স্থানীয় হেভিওয়েট দল ইউডিপি। তারা পেয়েছে ১১টি আসন। ৫টি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস (Congress) এবং তৃণমূল। HSDP নামের একটি স্থানীয় দল পেয়েছে ২টি আসন। ৪টি আসন পেয়েছে ভয়েস অফ পিপল পার্টি নামের একটি স্থানীয় দল। পিপলস ডেমক্র্যাটিক ফ্রন্ট পেয়েছে ২টি আসন। দুটি আসনে জিতেছেন নির্দলরা।
[আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে বাড়িতেই নকল নোট ছাপালেন যুবক! তদন্তে নেমে তাজ্জব পুলিশ]
কনরাড সাংমা (Conrad Sangma) ইতিমধ্যেই এনপিপির ২৬, বিজেপির ২, এইচএসডিপির ২ এবং দু’জন নির্দলের সমর্থনে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৩২ বিধায়কের সমর্থন ছিল তাঁর পক্ষে। মেঘালয়ে ম্যাজিক ফিগার ৩১। কিন্তু শুক্রবার রাতে হঠাৎ টুইস্ট শুরু হয় মেঘের রাজ্যে। বিজেপি এবং এনপিপি বাদে সব দলের নেতারা শুক্রবার রাতে এক ইউডিপি বিধায়কের বাড়িতে বৈঠকে বসেন। ঠিক তার পরেই কনরাড সাংমাকে সমর্থনের চিঠি প্রত্যাহার করে নেন HSDP’র সভাপতি। তিনি দাবি করেন দলকে না জানিয়েই দুই বিধায়ক এনপিপিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই সমর্থনের চিঠি প্রত্যাহার করা হল। HSDP সমর্থন প্রত্যাহার করায় এনপিপি জোটের উপর সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছে। এনপিপি-বিজেপি জোটের হাতে এখন বিধায়ক সংখ্যা ৩০। যদিও এনপিপি সূত্রের দাবি, তাদের কাছে উপযুক্ত সংখ্যা আছে। আরও বিধায়ক যুক্ত হবেন।
[আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে দেশের বদনাম বরদাস্ত নয়, রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ বিজেপির]
এসবের মধ্যে নতুন জল্পনা তৈরি করে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা জানিয়েছেন, বিজেপি (BJP) জোট থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া ২ বিধায়ক তাঁদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মুকুলের সাফ কথা, এনপিপি আর বিজেপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আর সকলেই রাজ্যের স্বার্থে আমাদের সঙ্গে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিবাদ ভুলে সাংমা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।