সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2021) কাটার পর দীপাবলি পালনের জন্য উন্মুখ হয়ে ওঠেন দেশবাসী। শুরু হয় আলোর উৎসবের প্রস্তুতি। উৎসবের আনন্দে গা ভাসানোর আগে প্রথমে চলুন জেনে নেওয়া যাক দীপাবলি শব্দের অর্থ। দীপাবলি মূলত সংস্কৃত শব্দ। আলো হল দীপ আর বলির অর্থ সারি। অর্থাৎ আলোর সারিই হল দীপাবলি।
মূলত হিন্দুদের উৎসব হিসাবেই পরিচিত দীপাবলি। অন্ধকার মুছে জীবনে আলোর প্রবেশকেই মূলত দিওয়ালি কিংবা দীপাবলি হিসাবে ধরা হয়। শুধু বাঙালিরাই নন, দীপাবলি কিন্তু বিভিন্ন জায়গার মানুষই পালন করে থাকেন। সেক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন নামে তাঁদের কাছে পরিচিত দীপাবলি। কিন্তু কেন সকলে দীপাবলি বা দিওয়ালি (Diwali) পালন করেন, তা আপনার জানা নেই তাই তো? চলুন সে সব অজানা কথাই জেনে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো করছেন? এই তথ্যগুলি জানলে আপনি চমকে যাবেন]
রামায়ণ অনুযায়ী ১৪ বছর বনবাসের পর স্ত্রী সীতা এবং ভাই লক্ষ্মণকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন রাম। দীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল অযোধ্যা। সেই রীতি মেনে আজও পালিত হয় দীপাবলি। আবারও কারও মতে, দাপর যুগে কৃষ্ণ নরকাসুর বধ করেছিলেন। সেই রীতি মেনে তামিল এবং তেলুগুরা আজও নরক চতুর্দশী পালন করেন। আবার মহাভারত অনুযায়ী ১২ বছর পর পঞ্চপাণ্ডব কার্তিক অমাবস্যায় হস্তিনাপুরে ফিরেছিলেন। সেই রীতি মেনেই কার্তিক অমাবস্যা তিথির বিশেষ দিনটি উদযাপন করা হয়।
আবার কেউ কেউ মনে করেন সমুদ্র মন্থনের জেরে মা লক্ষ্মীর জন্ম হয়েছিল। তাঁকে স্ত্রী রূপে মেনে নিয়েছিলেন বিষ্ণু। কথিত ব্যাখ্যা অনুসারে অনেকে এদিন লক্ষ্মীপুজোও করে থাকেন। আবার কথিত আছে, বিষ্ণু এদিনে লক্ষ্মীকে রাজা বলির কবল থেকে উদ্ধার করেছিলেন। শত্রু দমনের প্রতীক হিসাবে অনেকেই দিনটি পালন করেন। দিওয়ালিতে গুরু হরগোবিন্দ জাহাঙ্গিরের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তাই শিখেরা দীপাবলির দিনটিকে মূলত বিজয় দিবস হিসাবে মানেন। মহাবীর নির্বাণ দিবস হিসাবে দিওয়ালি পালন করেন জৈনরা। আদর্শ রাজা হিসাবে পরিচিত ছিলেন বিক্রমাদিত্য। তিনি দিওয়ালিতে সিংহাসনে বসেছিলেন। সেই রীতি মেনে এই দিনটি পালন করা হয়। শক্তির সাধকরা দিওয়ালি বা দীপাবলিতে কালীপুজো করে থাকেন। নিশ্চয়ই উৎসবের আনন্দে গা ভাসান। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভুলেও বাজি ফাটাবেন না।