shono
Advertisement

বেপরোয়া গাড়ি পিষল চার শাবককে, মৃত্যুর পর দীর্ঘক্ষণ দেহ আগলে বসে সারমেয় মা

মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন ভাতারের বাসিন্দারা।
Posted: 09:46 PM Dec 12, 2022Updated: 09:46 PM Dec 12, 2022

ধীমান রায়, কাটোয়া: শেষবারের মতো আদর। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। তবু শুঁকে নিচ্ছে চার সন্তানের ঘ্রাণ।

Advertisement

ছবিটা অতি স্নেহের। চার বাচ্চাকে নিয়ে সড়ক পথের ধারে শুয়েছিল পথ সারমেয় মা। বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে মা গিয়েছিল খাবারের সন্ধানে। সেই সময় বেপরোয়া গাড়ি পিষে দেয় চার সারমেয় শাবককে। বেঘোরে প্রাণ যায় তাদের। আর চার সন্তানের মৃত্যুর পর দীর্ঘক্ষণ তাদের দেহ আগলে রইল সারমেয় মা। সোমবার এই মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন ভাতারের মুরাতিপুর বাজারের বাসিন্দারা।

[আরও পড়ুন: মোহনবাগানে স্পোর্টস লাইব্রেরি তৈরির কাজ শুরু, কবে উদ্বোধন? জানালেন সচিব]

শেষে স্থানীয় এক পশুপ্রেমী যুবক ওই চার সারমেয় শাবকের দেহ সৎকার করেন। তবে বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্যে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদশাহী রোডে ভাতারের মুরাতিপুর বাজারে সোমবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পান একসঙ্গে চার সারমেয় শাবকের দেহ পড়ে রয়েছে। তার ওই শাবকদের আগলে রয়েছে তাদের মা। রক্তাক্ত সারমেয় শাবকদের দেহ দেখেই স্থানীয়রা বুঝতে পারেন তাদের কোনও গাড়ি পিষে দিয়ে চলে গিয়েছে। মুরাতিপুর চৌরাস্তা থেকে একটু দুরে একটি চায়ের দোকানের সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিঠুন শেখ বলেন, ‘‘আমি সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি চারটি কুকুরছানার দেহ পড়ে রয়েছে। ওদের মা দেহগুলির কাছে ঠায় বসে রয়েছে। মা সারমেয়র দু’চোখে জল। ওকে সরানোর চেষ্টা করেও সরাতে পারছিলাম না। খাবার দিতে গেলেও খেতে চাইছিল না মা কুকুরটা।’’

স্থানীয় বাসিন্দা জাইদুল শেখ বলেন, ‘‘ওই কুকুরছানাগুলি যে রাস্তার উপরে শুয়েছিল তা নয়। রাস্তার একপাশেই ছিল। কিন্তু কোনও গাড়িচালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণেই এই ঘটনা ঘটে। যদি বাজার এলাকায় একটু আস্তে গাড়ি চালানো হয় তাহলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে না। এর আগেও বেশকয়েকটি পথ কুকুরকে চাপা দিয়ে মেরেছে বেপরোয়া গাড়ি।’’

[আরও পড়ুন: মেঘালয়ে জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, আমজনতার মন পেতে কৌশলী মমতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement