সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেড়ে গেল ঘরোয়া বিমানে যাতায়াতের খরচ। সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ঘরোয়া বিমানের ভাড়া। বিভিন্ন রুটের উপর নির্ভর করে ন্যূনতম এবং সর্বোচ্চ ভাড়া বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঘরোয়া বিমান ক্ষমতার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারবে।
[আরও পড়ুন: মানবিক প্রধানমন্ত্রী, একরত্তিকে বাঁচাতে ৬ কোটি টাকা কর মকুব মোদির]
জানা গিয়েছে, ন্যূনতম ভাড়া বাড়তে পারে ১০ শতাংশ, অন্যদিকে সর্বোচ্চ ভাড়া বাড়বে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। বর্তমানে দিল্লি-মুম্বইয়ের ভাড়ার তালিকা রয়েছে ৩,৫০০-১০০০০ টাকার মধ্যে। এটাই বেড়ে হচ্ছে ৩,৯০০-১৩,০০০ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে আরও অন্যান্য ফি। গত বছরের মে মাসে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক উড়ানের সময়ের উপর নির্ভর করে শ্রেণিবিন্যাস করেছিল। মোট সাতটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছিল ওই সময়। তবে উড়ানের ভাড়াবৃদ্ধির অন্যতম কারণটি হল জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া। ৪০ মিনিট পর্যন্ত উড়ানের ক্ষেত্রে পুরনো ভাড়া ছিল ২,০০০-৬,০০০ টাকা। নতুন ভাড়া হবে ২,২০০-৭,৮০০ টাকা। ৪০-৬০ মিনিট পর্যন্ত উড়ানে পুরনো ভাড়া ছিল ২,৫০০-৭,৫০০ টাকা। বর্তমানে ভাড়া হবে ২,৮০০-৯,৮০০ টাকা। আবার, ৬০-৯০ মিনিট পর্যন্ত উড়ানের ক্ষেত্রে পুরনো ভাড়া ছিল ৩,০০০-৯,০০০ টাকা। আর নতুন ভাড়া হবে ৩,৩০০-১১,৭০০ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকেই মন্দার মারে জর্জরিত বিমান সংস্থাগুলি। তারপর সেই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে করোনা মহামারী। এহেন ডামাডোলে বিমান জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি। লকডাউনের জেরে প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর যাত্রী পরিষেবা শুরু করে বিমান সংস্থাগুলি। কিন্তু তারপর জ্বালানির দাম বাড়ায় রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে তারা। তাছাড়া, মোট আসন সংখ্যার কম যাত্রী নিয়ে যাওয়ায় কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বিমান সংস্থাগুলিকে। তাই শেষমেশ পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। যদিও এর জেরে যাত্রীদের উপর বোঝা আরও বাড়ল।