সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্যালেন্টাইনস ডে মানেই প্রেমের আঁচে গা সেঁকে নেওয়ার পালা। তরুণ-তরুণীরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন থাকেন। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটু দেখা, একটু ছোঁয়া, একটু আদুরে আলাপের জন্য অপেক্ষা থাকে। কিন্তু এতদিন যা হওয়ার হয়েছে। আর হবে না। কেননা লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঘোরাঘুরি মোটেও বরদাস্ত করা হবে না।
[ ভূতের মুখে রাম নাম! অল্পবয়সিদের প্রেমের অধিকার নিয়ে সওয়াল তোগাড়িয়ার ]
নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ওইদিন মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। তবে পশ্চিমী সংস্কৃতির প্রতি কর্তৃপক্ষর ক্ষোভ গোপন থাকেনি। নির্দেশিকায় স্পষ্ট লেখা হয়েছে, পশ্চিমী হাওয়ার প্রভাবেই ১৪ ফেব্রুয়ারি সেলিব্রেশন করছেন পড়ুয়ারা। ইদানিংকালে এই প্রবণতা বেড়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সাফ জানাচ্ছে যে, ওইদিন শিবরাত্রি উপলক্ষে ক্যাম্পাস বন্ধ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যুগলে ঘোরাঘুরি করা নিষিদ্ধ। এবং যদি কেউ এই আচরণবিধি লংঘন করেন, তবে তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। অর্থাৎ বকলমে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র বদলে শিবরাত্রি পালনেই জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুধু সেখানেই ক্ষান্ত হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। মা-বাবাদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ওইদিন যেন ছেলেপুলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসে। কারণ ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এই অজুহাতে যাতে কেউ ভ্যালেন্টাইনস ডে সেলিব্রেট না করতে পারে তাও প্রায় নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই অবশ্য প্রথমবার নয়। এর আগেও ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ফুল বা গিফট নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেটা ২০০৯ সাল। ২০১৪ সালে আবার পড়ুয়াদের কী করণীয়, আর কী করা উচিত নয়, সে নির্দেশিকাও ঝোলানো হয়েছিল। এবছরও একই ধরনের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘ছুটি ঘোষণা হয়েছে ভাল কথা। কিন্তু ক্যাম্পাসে ছাত্ররা ঢুকতে পারবে না, এ আবার কেমন কথা? বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্ররা ঢুকতে পারবে না তো কারা পারবে?’
ছবি: প্রতীকী
The post ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করলে সাজা, নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে appeared first on Sangbad Pratidin.