সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে করাল থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। মারণ চিনা ভাইরাসের প্রকোপে ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ২১৩ জনের। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধকের খোঁজ মেলেনি। কীভাবে রোগীকে সুস্থ করে তোলা হবে, তা নিয়ে সন্দিহান চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্বে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) । চিনে জারি জরুরি অবস্থা।
চিনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। সর্দি, কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হতে থাকেন একের পর এক মানুষ। ক্রমশ মহামারির আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত মোট ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৯২ জন। হু’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৮টি দেশে ১০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, সে তালিকায় ভারতও রয়েছে। হু-এর সমীক্ষা বলছে, ঝুঁকির তালিকায় যে দেশগুলি রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম নামটি হল থাইল্যান্ড। এরপরেই আছে জাপান এবং হংকং। আমেরিকা আছে ৬ নম্বরে, অস্ট্রেলিয়া ১০ নম্বরে, ইংল্যান্ড ১৭ নম্বরে এবং ভারত ২৩ নম্বরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাইরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম ঘেবরেয়েসাস বলেন, “গত কয়কদিনে যে গতিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে একজনের থেকে আরেকজনরে মধ্যে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।” তাই গোটা বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ইটালিতেও। চিন ভ্রমণ সেরে ফেরার পর ইটালিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন একজন। তাঁর শরীরেও মিলেছে মারণ চিনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ইটালি থেকে চিন পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান সেদেশের প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস চাষ করছিল চিন, জৈব মারণাস্ত্র বানাতে গিয়েই বিপত্তি!]
চিনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁটা ভারতও। বৃহস্পতিবারই মৃত্যু হয়েছে ত্রিপুরার এক যুবকের। চিনের ইউহান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে যাওয়া কেরলের এক পড়ুয়ার দেহেও মিলেছে করোনা ভাইরাস। এছাড়াও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সন্দেহে বিহার, দিল্লি এবং রাজস্থানেও বেশ কয়েকজন ভরতি হাসপাতালে। তাঁদের নমুনা পুণের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। মারণ ভাইরাস প্রতিষেধকের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই দুশ্চিন্তায় চিকিৎসকরা। যদিও আয়ুষ দপ্তরের দাবি, হোমিওপ্যাথিতেই কাত হতে পারে করোনা ভাইরাস। যদিও আয়ুষ দপ্তরের এই যুক্তি মানতে নারাজ অধিকাংশ মানুষ।
The post করোনা ভাইরাসে চিনে মৃত্যুমিছিল, বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি WHO’র appeared first on Sangbad Pratidin.