সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) রাতভর জেরা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ম্যারাথন জেরায় অসুস্থ মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছেছেন দু’জন চিকিৎসক। পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত ৫০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না, জমির দলিল ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর অর্পিতার আয়ের উৎস নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের খবর, ক্রমশ জোরালো হচ্ছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা।
তদন্তকারীদের দাবি, টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের একটি বন্ধ ঘর এবং বন্ধ ওয়ার্ড্রোব থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রাতভর জেরায় একাধিকবার বয়ান বদল করেছেন আঠাশ বছর বয়সি অর্পিতা। বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে নাকি কিছু বলতেই পারছেন না তিনি। হাতে গোনা কয়েকটি বাংলা ছবিতে সহ অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করেছেন অর্পিতা। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও একইরকম। যদিও বেশ কিছু ওড়িয়া ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি নেল পার্লার ছিল অর্পিতার। তবে প্রশ্ন উঠছে, অভিনয় এবং ব্যবসা করে এত অল্প বয়সে ২১ কোটি টাকা রোজগার করা সম্ভব? নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার কিছু না কিছু যোগসূত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন ইডি আধিকারিকরাও।
[আরও পড়ুন: দেহে সুতোটুকু নেই, ক্যামেরায় পোজ রণবীরের! বললেন ‘হাজার মানুষের সামনে নগ্ন হতে পারি’]
ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গ্রেপ্তার করা হতে দু’জনকে? হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির তদন্তে তবে কি জেলেই যেতে হতে পারে পার্থ ও অর্পিতাকে? গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা আদৌ রয়েছে কিনা, কেনই বা ম্যারাথন জেরা চলছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত।
রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে ইডির (ED) হানা এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠে’র বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যদিও রাতে টুইট করে জানান, ‘‘ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাঁদের নাম আসছে, এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে।’’ এদিকে, তৃণমূলের মধ্যেই জল্পনা চলছে অবিলম্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।