আশঙ্কা, আগত ভোটে ফরাসি রাজনীতিতে অতি দক্ষিণপন্থী শক্তির উত্থান ঘটতে পারে। ক্ষমতা হারাতে পারেন ইমানুয়েল মাঁক্রো। ইউরোর মাঝেই কিলিয়ান এমবাপে ডাক দিয়েছেন ফ্রান্সের নির্বাচনে এই অতি উগ্রপন্থাকে রোখার। কে রুখবে? বামপন্থীদের জোট ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’ আবির্ভূত হয়েছে। তারা-ই এই ভোটের কালো ঘোড়া। লিখছেন অর্ক ভাদুড়ি।
স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের দেশে এখন ধুন্ধুমার কাণ্ড! ফরাসি মুলুকে রাষ্ট্রক্ষমতার দরজায় আক্ষরিক অর্থেই কড়া নাড়ছে চরমপন্থী শক্তি। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা। তারপরেই রুশো, ভলতেয়ারের দেশে নাকি ক্ষমতায় আসতে চলেছে অতি-দক্ষিণপন্থী শক্তি! নির্বাচনী পূর্বাভাস তো সেই কথাই বলছে। কিন্তু এতটাই কি সহজ ফ্রান্সের চরম দক্ষিণপন্থী নেত্রী মারিন লো পেনের ক্ষমতাদখল? সম্ভবত নয়। নির্বাচনের ঠিক আগে ফরাসি বামপন্থীদের প্রধান দলগুলি নিজেদের দীর্ঘকালীন বিবাদ মিটিয়ে তৈরি করে ফেলেছে ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’। বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন ফ্রন্ট নাকি খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।
ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন ফ্রান্সের তরুণ অধিনায়ক কিলিয়ান এম্বাপে। সেখানে তিনি সরাসরি বলেছেন, ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়ার গ্রুপ ডি ম্যাচের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রান্সের আসন্ন নির্বাচন। ফরাসি যুবসমাজের কাছে এম্বাপে সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন ‘চরমপন্থী’ শক্তিকে পরাস্ত করার। প্রায় একই কথা বলেছেন কিংবদন্তি ফরাসি ফুটবলার লিলিয়ান থুরাম এবং তঁার ছেলে। এই নির্বাচনকে বলা হচ্ছে ফ্রান্সের যাবতীয় গণতান্ত্রিক ও বহুত্ববাদী অর্জনকে রক্ষার নির্বাচন। অধিকাংশ সমীক্ষা বলছে, জুনের ৩০ এবং জুলাইয়ের ৭ তারিখে হতে চলা দু’-দফার পার্লামেন্টারি নির্বাচনে উগ্র দক্ষিণপন্থার কাছে হেরে যেতে পারে ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধান ইমানুয়েল মাক্রোঁর দল। মধ্য-দক্ষিণপন্থী মাক্রোঁর পরিবর্তে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন চরম দক্ষিণপন্থী লো পেন। কিন্তু, নির্বাচনের ঠিক আগে আর্বিভাব ঘটেছে এক নতুন শক্তির: বামপন্থীদের জোট ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’-এর। তারাই এই নির্বাচনের ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’, কালো ঘোড়া।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চরম নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা, সংসদে মানল শাহবাজ সরকার]
৯ জুনের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে মারিন লো পেন এবং জর্ডান বার্ডেলা-র নেতৃত্বে অতি-দক্ষিণপন্থী রাসেমব্লেমঁ নাশিওনাল (আরএন) পার্টি ফ্রান্সের মোট ভোটের প্রায় ৩১.৫% পেয়েছে। জনমত অঁাচ করতে পেরে তড়িঘড়ি জাতীয় আইন পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেন এমানুয়েল মাক্রোঁ। তারপরেই এক অদ্ভুত ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয় ফ্রান্সের সর্বত্র। স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজার হাজার বামপন্থী কর্মী, সমর্থক, ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীরা পথে নেমে আসেন। তঁাদের মুখে অতি দক্ষিণপন্থাকে রোখার ডাক। ফ্রান্সের গণতান্ত্রিক ও বহুত্ববাদী ঐতিহ্য রক্ষার্থে সর্বাত্মক ঐক্যের আহ্বান। উগ্র দক্ষিণপন্থার নির্বাচনী জয়জয়কার এবং তৃণমূল স্তরের কর্মী-সমর্থকদের চাপে যৌথভাবে নির্বাচন লড়ার ডাক দেন ফরাসি দেশের চারটি প্রধান বাম দল– সোশ্যালিস্ট পার্টি, গ্রিন পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি এবং অতি-বামপন্থী হিসাবে পরিচিত ‘লা ফ্রঁাস এসুমিজ’-এর (এলএফআই) নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, এই দলগুলি সাম্প্রতিক অতীতে নিজেদের মধ্যে বহু তিক্ত বাদানুবাদে জড়িয়েছে, একে অন্যের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেছে।
গত ১০ জুন প্যারিস-সহ ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে অতি-দক্ষিণপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে বিরাট বিরাট জমায়েত হয়। সেগুলিতে বড় সংখ্যায় অংশগ্রহণ করে দেশের বামমনস্ক যুবপ্রজন্ম। প্যারিসের রিপাবলিক স্ক্যোয়ারের স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েতে ‘এলএফআই’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান ফরাসি বামপন্থী রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, ‘ফায়ারব্র্যান্ড’ নেতা জ্যঁ-লুক মেলোশঁ-ও একটি যৌথ মঞ্চের কথা বলেন।
২০২২ সালে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়েও সোশ্যালিস্ট, কমিউনিস্ট এবং গ্রিন পার্টি মেলোশঁ-র নেতৃত্বাধীন এলএফআই-এর সঙ্গে একযোগে ‘নিউ ইকোলোজিকাল অ্যান্ড সোশ্যাল পপুলার ইউনিয়ন’ (‘এনইউপিইএস’) নামে জোট গড়ে লড়েছিল কিছু গুরুত্বপূর্ণ যৌথ দাবির ভিত্তিতে। এই দাবিগুলির মধ্যে ছিল ১৪০০ ইউরো ন্যূনতম মাসিক বেতন, প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থির রাখা, ৬০ বছরে অবসর এবং রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পার্লামেন্টের হাতে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি। ফ্রান্সের মোট ৫৭৭টি আইনসভার মধ্যে ১৫১-টিতে জয়ী হন এই জোটের প্রার্থীরা। অন্যদিকে, অতিদক্ষিণপন্থী আরএন পার্টির জেতা আসনের সংখ্যা ছিল ৮৯। কিন্তু ২০২২-এর পরে এই জোট ভেঙে যায়।
সাম্প্রতিক অতীতে, পারমাণবিক শক্তি সংক্রান্ত বিতর্ক থেকে শুরু করে ইউক্রেন বা ইজরায়েল সংকটের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল পূর্বতন বাম জোটের শরিকদের মধ্যে। দলগুলির নেতৃত্বের মধ্যে চলছিল প্রবল কাদা ছোড়াছুড়ি। কিন্তু মাক্রোঁর আচম্বিতে ভোটের ঘোষণা যুযুধান পক্ষগুলির মধ্যে ঐক্যের হাওয়া বইয়ে দিয়েছে। ১৩ জুন ঘোষিত হয়েছে ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’ (এনপিএফ)। এই জোটের নামেই আসন্ন নির্বাচনে একটি সাধারণ ইস্তাহারের ভিত্তিতে যৌথভাবে লড়বেন সোশ্যালিস্ট, কমিউনিস্ট,
গ্রিন এবং অতি-বামপন্থী এলএফআই-এর প্রার্থীরা। নিউ পপুলার ফ্রন্টের ৫৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে থাকবেন ২২৯ জন এলএফআই প্রার্থী, ১৭৫ জন সোশ্যালিস্ট, ৯২ জন গ্রিন এবং ৫০ জন কমিউনিস্ট প্রার্থী।
[আরও পড়ুন: বিদায় ওয়ানড়, অধিবেশনের প্রথম দিন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা রাহুলের]
এই জোটের নামকরণ বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে ৮৮ বছর আগে। ১৯৩০-এর দশকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন দক্ষিণপন্থার দ্রুত উত্থান ঘটছে, তখন ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স ইন্টারন্যাশনালের ফরাসি সেকশন, এবং র্যাডিকাল-সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান পার্টি একযোগে পপুলার ফ্রন্ট গঠন করে ১৯৩৬-এর মে মাসের আইনসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে। দু’-আড়াই বছরের স্বল্পদৈর্ঘ্যের মেয়াদে শ্রম ও সামাজিক অধিকার সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে পেরেছিল এই পপুলার ফ্রন্ট। আজকের ইউরোপেও দেশে দেশে শক্তি বাড়ছে অতি-দক্ষিণপন্থীদের। তাই ১৯৩৬-এর ঐতিহাসিক পপুলার ফ্রন্টের স্মৃতিতে ২০২৪-এর এই বামপন্থী জোটের নাম রাখা হয়েছে ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’।
এই জোটের ঘোষণার ফলে অবশ্যই আরও চাপে পড়লেন মাক্রোঁ।
২০২২-এর নির্বাচনে তঁার পার্টি ২৫০টি আসনে জিতেছিল। ২০২৪ সালের ৯ জুনের ইউরোপীয় নির্বাচনে মাক্রোঁর পার্টি আরও চারটি পার্টির সঙ্গে একত্রে পেয়েছে মাত্র ১৪.৫% ভোট। যেখানে রাফায়েল গ্লুক্সমানের নেতৃত্বে সোশ্যালিস্টরাও পেয়েছে প্রায় এর কাছাকাছি পরিমাণ ভোট। মেলোশঁ-র নেতৃত্বে এলএফআই পেয়েছে ১১% ভোট। নিউ পপুলার ফ্রন্ট যেহেতু প্রতি কেন্দ্রে একজন করেই প্রার্থী দেবে, সুতরাং উগ্র দক্ষিণপন্থী আরএন-এর মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে তাদেরই উত্থানের সম্ভাবনা সর্বাধিক। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে একরকম বাধ্য থাকবেন মাক্রোঁ। সেক্ষেত্রে,
২০২৭ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে আসীন থাকলেও মাক্রোঁর ক্ষমতা হ্রাস পাবে। স্বাভাবিকভাবেই লো পেনের মতোই মাক্রোঁ শিবিরও ঐক্যবদ্ধ বামপন্থীদের তীব্র আক্রমণ করছে।
একটি সমীক্ষার অনুমান, ৩০ জুনের ভোটে ২৫-২৮% ভোটার বেছে নিতে পারে নিউ পপুলার ফ্রন্টকে। যেখানে লো পেনের অতি-দক্ষিণপন্থী আরএন ৩১% এবং মাক্রোঁ ও তঁার সহযোগী শক্তিরা ২০% ভোট পেতে পারে। মাক্রোঁর ভরাডুবি বামপন্থীদের জিতিয়ে দেবে না, কিন্তু তাদের দেশের মুখ্য বিরোধী পক্ষে পরিণত করবে। যদিও মাক্রোঁর আশা, ইউরোপীয় নির্বাচনে যারা সোশ্যালিস্ট পার্টির রাফায়েল গ্লুক্সমান-কে ভোট দিয়েছিল, তাদের একটা বড় অংশ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক মনোভাবাপন্ন। অতি বামপন্থী ‘এলএফআই’-এর জোটভুক্তির কারণে ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’-কে তারা ভোট দেবে না। সুতরাং, কৌশলগতভাবেও মাক্রোঁ নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন অতি-দক্ষিণপন্থা ও অতি-বামপন্থার মধ্যবর্তী একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিকল্প হিসাবে। এমনকী, গ্লুক্সমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করতেও শোনা গিয়েছে তঁাকে।
রাফায়েল গ্লুক্সমান বলেছিলেন, ইউরোপীয় নির্বাচনে তঁার সাফল্য ফ্রান্সের বামপন্থী রাজনীতিতে জ্যঁ-লুক মেলোশঁ-র প্রভাব ব্যাপকভাবে কমাবে। মেলোশঁ-কে ‘নির্দয়’ এবং ‘বিভেদকামী’ বলেও তিনি অভিহিত করেছেন একসময়। কিন্তু, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সেই নিরলস আক্রমণ থেকে আপাতত সরে এসেছেন তিনি। তবে, বামপন্থী জোট আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও মেলোশঁ যাতে প্রধানমন্ত্রী না হন, সে-ব্যাপারেও নিজের সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছেন গ্লুক্সমান। অন্যদিকে, জোটের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রিত্বের সম্ভাব্য দাবি থেকে সরে দঁাড়াতে রাজি মেলোশঁ-ও। টুইট করে জানিয়েছেন, ‘আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চাপিয়ে দেব না। আমি কখনওই সমস্যার কারণ হব না। সবসময়েই সমাধানের পক্ষে থাকব।’ যুযুধান বামপন্থী দলগুলির এই নমনীয়তার কারণ একটাই, চরম দক্ষিণপন্থার বিপুল উত্থান।
নবগঠিত বাম জোটের পক্ষে রয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। গত বছর মাক্রোঁর পেনশন রিফর্মের প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাস্তাঘাট অচল করে দিয়েছিল শ্রমিক-সহ সাধারণ মানুষ। বামপন্থী জোটের অন্যতম প্রতিশ্রুতি, এই রিফর্ম বাতিল করা এবং অবসরের বয়স ৬২ করা। অতি-দক্ষিণপন্থীরাও প্রথমে এই রিফর্ম বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তবে পরে পিছিয়ে যায়। অন্যদিকে, মাক্রোঁ সাম্প্রতিককালে অতি-দক্ষিণপন্থীদের অনুসরণে অভিবাসন-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বাতিল জিনিস বেচে পেট চালানো বৃদ্ধকে নিয়ে তামাসা ভিডিও ভাইরাল, অপমানে আত্মহত্যা!]
গত বেশ কিছু বছর ধরে ইউরোপের অধিকাংশ দেশের মতো ফরাসি সমাজের অক্ষও ক্রমশ ডানদিকে হেলে পড়েছে। ফলে, অনেক রক্ষণশীল ভোটারের কাছে এলএফআই-এর মতো অতি-বামপন্থী দল-সহ একটি সোশ্যাল-ডেমোক্র্যাটিক জোটের চেয়ে লো পেনের উগ্র দক্ষিণপন্থী, জাতিবিদ্বেষী দল বেশি গ্রহণযোগ্য। বামপন্থী জোটের পক্ষে সর্বোচ্চ আসনে লড়বেন এলএফআই-এর প্রার্থীরাই। সব বামমনস্ক ভোটার এই নতুন জোটকে বেছে নেবে কি না, তা জানার জন্য আরও ক’টা দিন অপেক্ষা করতে হবে।
প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষা বলছে, ৮৫ শতাংশের বেশি এলএফআই সমর্থক এই জোটকে ভোট দিলেও গ্রিন এবং সোশ্যালিস্ট সমর্থকদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে এক-ষষ্ঠমাংশের ভোট অন্যত্র পড়তে পারে। অতি-দক্ষিণপন্থাকে পরাস্ত করতে যুযুধান বিরোধী দলগুলির জোট বঁাধার নজির আমরা দেখেছি সদ্যসমাপ্ত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে। মাক্রোঁর মধ্য-দক্ষিণপন্থী দলের মতো কোনও তৃতীয় পক্ষ অবশ্য ভারতে (কয়েকটি রাজ্য বাদে) ছিল না। ভোটে বিজেপির শক্তিহ্রাস হলেও তাদের হারানো যায়নি। ফ্রান্সেও হয়তো অতি-দক্ষিণপন্থাকে পুরোপুরি হারানো যাবে না এই নির্বাচনে। তবুও, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে হারানোর লক্ষ্যে বামপন্থার
নরম-চরম ধারাগুলির হাত ধরার এই প্রচেষ্টা যদি সমাজের ডানদিকে হেলে যাওয়া অক্ষকে খানিকটা সোজা করতে পারে, তা-ই বা কম কী?
(মতামত নিজস্ব)
লেখক সাংবাদিক
arka2020.ami@gmail.com