shono
Advertisement

অভিনয়ের দুর্বলতাতেই কি হারিয়ে গেল ‘সর্দার কা গ্র্যান্ডসন’? পড়ুন ফিল্ম রিভিউ

নেটফ্লিক্সে ২ ঘণ্টা ১৯ মিনিট সময় খরচ করার আগে জেনে রাখুন।
Posted: 06:46 PM May 19, 2021Updated: 06:46 PM May 19, 2021

সুপর্ণা মজুমদার: শুধুমাত্র আবেগের চচ্চড়ি এবং ভারত-পাকিস্তান বন্ধুত্বের মন্ত্র দিয়ে ছবি তৈরি হয় না। একথা ফের বুঝিয়ে দিল ‘সর্দার কা গ্র্যান্ডসন’ (Sardar Ka Grandson) ছবিটি। শুক্রবার নয়, মঙ্গলবার নেটফ্লিক্সে (Netflix) মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সিনেমা হলের জন্য টাকা খরচ করতে হল না ভাগ্যিস! নয়তো টাকা অপচয়ের দুঃখ থাকত।

Advertisement

তরুণ পরিচালক কাশভি নায়ার (Kaashvie Nair) এ ছবির অন্যতম লেখিকাও বটে। তাঁর সঙ্গেই চিত্রনাট্য লিখেছেন অনুজা চৌহান। সংলাপ অমিতোষ নাগপালের। পাঞ্জাবি মেজাজেই সাজানো পুরো গল্প। যেখানে ঠাকুমা সর্দার কউরের (নীনা গুপ্তা) ইচ্ছেপূরণের জন্য লাহোর থেকে পাঞ্জাবে আস্ত বাড়ি তুলে আনে তাঁর নাতি অমরিক (অর্জুন কাপুর)। ব্যস, এই এক লাইনের গোটা গল্প বলা হয়ে যায়। যা দিয়ে ২ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের সিনেমা তৈরি করেছেন কাশভি। তাহলেই বুঝুন কত জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়েছে!

[আরও পড়ুন: ‘এই আমাদের আচরণ?’ বাংলাদেশে মহিলা সাংবাদিক নিগ্রহের তীব্র প্রতিবাদ জয়ার]

নীনা গুপ্তা (Neena Gupta) অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে তাঁর প্রস্থেটিক মেকআপ ঠিক জুতসই লাগল না। হ্যাঁ, হলিউডের মতো মেকআপ বলিউডে অবশ্যই আশা করা যায় না। কিন্তু চেষ্টা তো করা যেত! অর্জুন কাপুর (Arjun Kapoor) বিশাল দেহ নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন ঠিকই তবে অভিনয় এতদিনেও রপ্ত করতে পারলেন না। একজন অভিনেতার অন্যতম সেরা হাতিয়ার হয় তাঁর চোখের অভিব্যক্তি। অর্জুনের চোখে তার ছিটেফোঁটাও নেই। অভিনয়ে কোনও নতুনত্ব নেই, সেই চেষ্টাও বোধহয় করেন না। ছবিতে অর্জুনের প্রেমিকা রাধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রকুলপ্রীত সিং (Rakul Preet Singh)। প্রতিভা রকুলপ্রীতের রয়েছে। তবে তাঁর সিনেমা বেছে করা উচিত। অযথা শো-পিস হওয়ার প্রয়োজন ছিল না।

ফ্ল্যাশব্যাকের ট্যুইস্ট ব্যবহার করা হয়েছে ‘সর্দার কা গ্র্যান্ডসন’ সিনেমায় যেখানে অল্পবয়সী সর্দারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন (Aditi Rao Hydari)। আর সর্দারের স্বামী গুরশেরের ভূমিকায় রয়েছেন মাসলম্যান জন আব্রাহাম (John Abraham)। অদিতি যেমন নিজের নমনীয়তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তেমনই জন নিজের অ্যাকশনের খোলস ছেড়ে প্রেমিক হয়ে উঠতে পারেননি। কুমুদ মিশ্র, কনওয়ালজিৎ সিং, সোনি রাজদান যেটুকু সময় পেয়েছেন সেখানেই অভিনয়ের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। হ্যাঁ, পাঞ্জাবের খেত, গুরুদ্বার দেখতে মন্দ লাগেনি। তবে লাহোরের সেটটি যে সাজানো তা বোঝা গিয়েছে। অতএব হাতে সময় যদি বেশি থাকে আর নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন যদি করাই থাকে তাহলে দেখে নিতেই সর্দারের নাতির এই কীর্তি। বাকিটা আপনার ব্যক্তিগত মতামত।

[আরও পড়ুন: তওকতের তাণ্ডবে ভেঙে পড়া গাছের সামনে উদ্দাম নাচ অভিনেত্রীর, ক্ষিপ্ত নেটিজেনরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement