সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে এনআইএ অভিযানের পর মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-কে (PFI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এবার সেই নিষিদ্ধ সংগঠনের এক নেতার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল কোরানের ভিতরে সিম লুকিয়ে তা জেলে পাঠানোর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে।
কেরলের ইদুক্কি জেলার সভাপতি ছিলেন টি এস সাইনুদ্দিন। এই মুহূর্তে তিনি জেলবন্দি। জেলে তাঁর কাছে ফোনের সিমকার্ড পৌঁছে দিতে কোরানকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল তাঁরই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। কোরানের ভিতরে সিমটি লুকিয়ে পাচার করার চেষ্টা করা হয় গত ১ নভেম্বর। অবশেষে শনিবার পুলিশের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই নেতার স্ত্রী, পুত্র মহম্মদ ইয়াসিন ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে। জেল আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আন্দোলনের মঞ্চে মিলল জীবনসঙ্গী! SSC ধরনা মঞ্চ থেকে বিয়ের পিড়িতে খুকুমণি-মিঠুন]
এবিষয়ে বলতে গিয়ে জেলের সুপারিটেন্ডেন্ট সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ”তদন্তের পরে জেল কর্তৃপক্ষ কোরানের ভিতরে সিমকার্ড উদ্ধার করছে, যা ওঁকে ওঁর পরিবার দিয়েছিল। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”
উল্লেখ্য, ইউএপিএ আইনের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআই সংগঠনকে। শুধু পিএফআই-ই নয়, এরসঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন যেমন সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমস্ত সংগঠনকেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বেআইনি কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্যই এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলেই দুর্ঘটনা, সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুতে অভিযুক্ত চিকিৎসক চালক]
তার আগে কর্ণাটক-সহ (Karnataka) দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনএআইএ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফএআই) ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা।