টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ঢাকে কাঠি প্রায় পড়ল বলে। চারদিকে সাজ সাজ রব। চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। কুমোরবাড়িতেও জোরকদমে চলছে প্রতিমা বানানো। এখন শুরু হয়েছে পদ্মফুল তুলে দুর্গাপুজার জন্য স্টোরে পৌঁছনো। ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন জলাশয়ে গিয়ে ফুল তুলছেন। পরে তা পৌঁছে যাচ্ছে স্টোরে। যাতে পুজোর সময় স্টোর থেকে সেই ফুল পৌঁছে যতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।
[আরও পড়ুন: অর্থকরী ফসল হিসেবে বাড়ছে নারকেলের গুরুত্ব, সাম্প্রতিক গবেষণায় নতুন আশা]
বাঁকুড়া শহরের ফুল ব্যবসায়ী বরেন সরকার বলছেন, “লাভ কম। তবুও পদ্মের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে।” গত বেশ কয়েক বছর ফুল চাষ করে আসছেন। সব মিলিয়ে বেশ কয়েকটি পুকুরে পদ্ম চাষ করছেন ফুল ব্যবসায়ী ওন্দা ব্লকের কল্যাণী গ্রামের বাসিন্দা রামপদ দাসের ব্যস্ততা আরও একটু যেন বেশি।
তাঁর চাষ করা পদ্মফুল গিয়েছে বিদেশে। তাঁর কথায়, এখন ফুলের দাম কম। তবুও যতটুকু আয় হয়, “সেই আশায় সকাল থেকে ফুল তুলতে শুরু করি। তারপরে সেই ফুল পৌঁছে দিই হিমঘরে। সেখানেই সমস্ত জায়গার ফুল একত্রিত করা হয়।”
[আরও পড়ুন: বিপুল আয়ের নয়া দিশা লেমন গ্রাস, চাষের উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের]
শ্রাবণ মাসের শেষ থেকেই শুরু হয়ে যায় পদ্মফুল তোলার কাজ। এখন ফুলের দাম কিছু কম। তবুও প্রতিদিন সব পুকুরে মিলিয়ে ১০০০-১২০০ ফুল নিয়ে যান স্টোরে। পুজোর সময় যে ফুলের দাম হয় ৫ টাকা, সেই ফুলের দাম এখন প্রতি পিস ১ টাকা। ফুল তোলা এবং তা স্টোরে পৌঁছে দেওয়ার পরে যে টাকা মেলে তার থেকে খরচ হয়ে যায় অর্ধেকের বেশি।
এর উপরে পুকুর মালিকদের টাকা দিতে হয়। বাকি সময় কোনও ইটভাটা কিংবা চাষের জমিতে শ্রমিকের কাজ করেন তাঁরা। এখন ফুলের যা দাম তাতে খুব বেশি আয় হয় না। ছাতনার বেশ কিছু জলাশয়ে ফুল শুকিয়ে গিয়েছে জলের অভাবে। চাষিরা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর চাষ অনেকটাই কম। অনেক চাষির আবার আশা, চাষ কম হয়েছে বলেই হয়তো ফুলের দাম বাড়বে।
The post মুনাফার আশায় পুজোর আগে হিমঘরে ঢুকছে বাঁকুড়ার পদ্ম appeared first on Sangbad Pratidin.