সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পথেই ডাকাতির পর বাবা ও ছেলেকে খুন করল আততায়ীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা ও ছেলেকে খুন করা হয়। তাঁদের সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ এবং মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার (Purulia) মফস্বল থানার কানালি গ্রামের অদূরে। জোড়া খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বাবা ও ছেলের দেহ পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এদিকে, খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পুরুলিয়া মফস্বল থানার আইমুণ্ডি মোড়ে ধানবাদ-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
ষাটোর্ধ্ব মদন পাণ্ডের পুরুলিয়ার চাষ মোড়ে পেট্রল পাম্পের ম্যানেজার। তাঁর বছর ছত্রিশের ছেলে কানাই পেট্রল পাম্পের ওয়ে সেকশনের কর্মী। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ছেলের মোটরবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন মদনবাবু। পুরুলিয়ার মফস্বল থানার কানালি গ্রামের অদূরে ফাঁকা মাঠের কাছে পৌঁছনোর পরই বিপত্তি। অভিযোগ, ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়া বেশ কয়েকজন তাঁদের পথ আটকায়। বাবা ও ছেলেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। এরপরই ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলের কাছে থাকা টাকা এবং মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতদল।
[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ছুঁইছুঁই, চিন্তা বাড়াচ্ছে ৯ জেলা]
এদিকে, চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়িতে থেকে বেরোন। তাঁরা দেখেন, ফাঁকা মাঠে রক্তারক্তি কাণ্ড। পড়ে রয়েছে বাবা ও ছেলের দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগনের নির্দেশে জেলাজুড়ে তড়িঘড়ি নাকা চেকিং শুরু হয়। রাতেই ছেলে ও বাবার দেহ দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে যান জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। ওই দু’জনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। কে বাবা কারা তাঁদের খুন করল, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। ব্যক্তিগত কোনও কারণ কিংবা শুধুমাত্র ডাকাতির উদ্দেশে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ডাকাতির উদ্দেশে খুন করা হয়েছে দু’জনকে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা। নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।