সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক (Pakistan) নৌসেনার গুলিতে ভারতীয় মৎস্যজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার ১০ জন পাক নৌসেনার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হল। গুজরাটের পোরবন্দরের বন্দর পুলিশ এই মামলা করেছে পাক নৌসেনাদের বিরুদ্ধে।
শনিবার গুজরাটের উপকূলে পাক নৌসেনার গুলিতে মৃত্যু হয় এক ভারতীয় মৎস্যজীবীর। গুজরাটের ওখায় পাকিস্তানের নৌসেনা গুলি চালায় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকো ‘জলপরি’র উপরে। তাতেই মৃ্ত্যু হয় বছর ৩২-এর মহারাষ্ট্রবাসী মৎস্যজীবী শ্রীধর রমেশ চামরের। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও এক মৎস্যজীবী। বর্তমানে তিনি ওখার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার জেরেই আজ পাক নৌসেনার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে। মৎস্যজীবী দিলীপ নাটু সোলাঙ্কি অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ পাক নৌসেনার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে। নাটু সোলাঙ্কিও সেই সময়ে ‘জলপরি’তে ছিলেন।
[আরও পড়ুন: লখিমপুর কাণ্ডের ‘তদন্ত এগোচ্ছে না’, যোগী সরকারকে ফের ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের]
পাক নৌসেনার গুলিতে ভারতীয় মৎস্যজীবীর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌসেনা জানিয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আক্রান্ত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলা হচ্ছে। বিস্তারিত জানার পরেই এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বিনা উস্কানিতে মৎস্যজীবীদের উপর এই হামলাকে হালকা ভাবে নেওয়া হচ্ছে না, সে কথাও ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত।
যদিও পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় মৎস্যজীবীরা বেআইনি ভাবে পাকিস্তানের জলসীমার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। পাক নৌসেনা মৎস্যজীবীদের একাধিকবার সতর্কও করে। তাতে পাত্তা দেয়নি মৎস্যজীবীরা। এরপরই তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানি নৌসেনা আরও দাবি করে, ৬ জন মৎস্যজীবী ও তাদের নৌকোটিকে অপরহরণ করা হয়নি, বরং আটক করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে।
[আরও পড়ুন: ফের টার্গেট পুলিশকর্মী, শ্রীনগরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ কনস্টেবল]
পাক নৌসেনার এমন আচরণ অবশ্য নতুন নয়। চলতি বছরের মার্চ মাসেই ১১ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করেছিল তারা। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়ছিল দু’টি ট্রলারও। তার আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ১৭ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে তারা। সেই সময় বাজেয়াপ্ত করা হয় তিনটি ট্রলার।