সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ভয়াবহ আগুন। শনিবার সকালে আগুন লাগে মার্কেটে। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা এলাকা। একটি কাপড়ের দোকান থেকে আগুন লেগেছে বলে অনুমান। পুজোর মুখে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ১০টার পর মার্কেটে আগুন লাগে। একটি কাপড়ের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন আশেপাশের দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪টি দোকান। কী থেকে আগুন স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন মেয়র গৌতম দেব।
ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা।
চোখের সামনে দাঁড়িয়ে অসহায় হয়ে নিজের দোকান পুড়ে যেতে দেখলেন সমীর বিশ্বাস। তিনি বলেন, "পুজোর সময় ব্যবসা জমে উঠে। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডে আমাদের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। জানিনা এবছর কী হবে আমাদের।" এই আগুনের ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা। তিনি বলেন, "মালিকানা না থাকায় আমরা কেউ ইন্সুইরেন্স পাইনা। কারণ আমাদের কোনও কাগজপত্র নেই। সরকারকে বহুবার এই কথা জানানোর পরেও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এখন এই ব্যবসায়ীদের কি হবে। আমরা চাই প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে আর্থিক সহযোগিতা করুক সরকার। আমরা সরকারকে কর থেকে শুরু করে বাকি সব দিচ্ছি। এছাড়া আমরা বলেছিলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গনে দুটো দমকল রাখার জন্য তাও শোনেনি প্রশাসন।"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক শংকর ঘোষ। তিনি নিজে দমকলের ল্যাডার দিয়ে দোকানের ছাদে উঠে অগ্নিকাণ্ড খতিয়ে দেখে। তিনি বলেন, "বিধান মার্কেট তাদের দাবি নিয়ে অরাজনৈতিক আন্দোলন করলে আমি পতাকা ছেড়ে সেখানে যোগ দেব।"
আগুন নেভানোর চেষ্টা।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, "এসএফরোড থেকে দমকল আসতে একটু সময় লাগবেই। তবে তারা খুব ভালো কাজ করেছে। কিন্তু যাদের দোকান পুড়ে গিয়েছে তাদের জন্য আমাদেরও দুঃখ লাগছে। পুজোর মুখে এটা বড় ক্ষতি। আর ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে শহরের মাঝে কোথাও দমকল রাখা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।"