সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: পূর্বসূচি অনুযায়ী বুধবার শিলিগুড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, রাজু বিস্তা ও জন বার্লা। তবে এই বৈঠকে হাজির হননি মোট ৭ বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। দলবদলের আবহে এই বিধায়কদের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে জল্পনা।
ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। মুকুল রায়ের (Mukul Roy) পর আরও ২ বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুষো। এই পরিস্থিতিতে আজ অর্থাৎ বুধবার উত্তরবঙ্গের ২৯ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিজেপি। নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর।
[আরও পড়ুন: COVID-19: বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণসময় খোলা থাকবে ব্যাংক, রাজ্যবাসীর স্বার্থে বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
তবে শুভেন্দু অধিকারীর বদলে এদিনের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন অমিতাভ চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন উত্তরবঙ্গের ৫ বিধায়ক-সহ মোট ৭ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, মালদহের গোপালচন্দ্র সাহা। কুমারগ্রামের মনোজ ওঁরাও, বালুরঘাটের সত্যেন্দ্রনাথ রায় ও হবিবপুরের জোয়েল মুর্মু। এই অনুপস্থিতি উসকে দিয়েছে দল বদলের জল্পনা। কারণ, বাগদার বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে সত্যেন্দ্রনাথ রায়ও বদলাতে পারেন দল।
বিজেপি সূত্রে খবর, বালুরঘাট আর গঙ্গারামপুর বিধায়ক আগেই জানিয়েছিলেন যে তাঁরা বৈঠকে যেতে পারবেন না। তবে বাকি ৩ জনের সম্পর্কে কোনও তথ্যই জানে না দল। এবিষয়ে জুয়েল মুর্মু জানিয়েছেন তিনি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ছিলেন। তবে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি গোপাল সাহা। এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি বাকি বিধায়কদের সঙ্গে। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠক উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে ডাকা হলেও তালিকায় দক্ষিণবঙ্গের ২ জনের নাম ছিল। তবে তাঁরা যোগ দেননি বৈঠকে। একসঙ্গে একাধিক বিধায়কের অনুপস্থিতি বিজেপির দুশ্চিন্তা যে বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।