সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরমে চা, শীতে চা। বৃষ্টিতে চা, চাঁদনি রাতে চা। সকালে, দুপুরে, বিকেল, সন্ধে চাই শুধু চা। দুঃখ হোক এক কাপ চা, সেলিব্রেশনে আরও দুকাপ। বাজি জিতে নিলে তো কথাই নেই। রাজনীতি থেকে সিনেমা, ঘরোয়া আড্ডা থেকে গসিপ। হাতে চায়ের কাপ না থাকলে ঝড়ই উঠবে না। কিংবা বাইরে যখন তুমুল ঝড় জানলার পাশে বসে এককাপ চা। প্রথম প্রেমে পড়ে বা ছ্যাকা খেয়ে মনের ঝড়েও চুমুক চায়ের কাপে । চা-প্রেমিকদের জিজ্ঞাসা করুন, চা খাওয়ার হাজারটা অজুহাত বলে দেবেন। কারও কাছে নেশা, কারও কাছে শুধুই টাইমপাস। কারও কাছে আলাপের শুরু। আর সেই কারণেই ঝোপ বুঝে চা খাওয়াচ্ছে শহরের নানা ক্যাফে। চা নিয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট, নানা কাণ্ড! এই যেমন, ক্যাফের সুবাদে চায়ের বাজার একেবারে চাঙ্গা। নাহ, শুধুই দুধ চা বা দুধ ছাড়া চা নয়। বরং চায়ের রয়েছে নানা রকমফের। চা তো এখন অনেকের কাছে 'হেলথ ড্রিঙ্ক'ও বটে! কারণ, বেশ কিছু অভিনব চায়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে স্বাস্থ্যের। ব্যাপারটা কী? একটু বিশদে বলা যাক। বিশ্ব চা দিবসে চা ভক্তরা চোখ বুলিয়ে নিন।
হোয়াইট টি: বিশেষজ্ঞরা এই চা-কেই খাঁটি চা বলে। সাদা চায়ের রং একেবারে হালকা এবং গন্ধও অনেক কম। মূলত এই চায়ের প্রাকৃতিক গন্ধ, স্বাদ ও মিষ্টতা উপভোগ করা হয়। এই চা খেলে ত্বক হয় উজ্জ্বল। এমনটাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে ভারত সেবাশ্রমের মহারাজ, নির্বাচনী ব্যানার থেকে সরল প্রার্থীর ছবিই!]
গ্রিন টি: গ্রিন টিয়ের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ, যেমন ব্লাডার, স্তন, ফুসফুস, পাকস্থলী ও কলোরেক্টাল ক্যানসারের কোষ বাড়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়। পাশাপাশি শরীরের চর্বি, অ্যালজাইমার ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
ব্ল্যাক টি: ব্ল্যাক টি চায়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাফেইন থাকে। ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্ষতি হওয়া থেকে ব্ল্যাকটি দারুণ উপকার দেয়। এ ছাড়া স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে ব্ল্যাক চা।
ওলং টি: প্রাণীর ওপর করা এক গবেষণায় জানা গেছে, ওলং চায়ের মধ্যকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমায়।
নীলকণ্ঠ চা- নীলকণ্ঠ ফুলের নির্যাস চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় এই চা। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এটা দারুণ একটি ডিটক্স ড্রিঙ্ক। যাঁরা অনিদ্রায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য দারুণ কাজ করে এই চা। শুধু তাই নয়, হার্টের পক্ষেও ভালো নীলকণ্ঠ চা।