সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবভারতীতে লিওনেল মেসির আগমন শেষ হয়েছে চরম ডামাডোলে। মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য বহু দূর থেকে আর্জেন্তিনীয় কিংবদন্তিকে দেখায় কারও সাধ মেটেনি। অথচ হাজার হাজার টাকা খরচ হয়েছে এর জন্য। আঙুল উঠছে মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর দিকে। এবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ও ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল। দুই সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। তাছাড়া ব্যক্তিগত বা বেসরকারি উদ্যোগে গোটা অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে, তাদের থেকে পরামর্শ বা অনুমতি নেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে এই বিশৃঙ্খলায় তারা দর্শক নিরাপত্তাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
আইএফএ'র তরফ থেকে যেমন জানানো হয়েছে, 'রাজ্য ফুটবল সংস্থা আইএফএ আজ বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী প্রসঙ্গে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। আইএফএ সুস্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম নক্ষত্র লিওনেল মেসি, লুই সুয়ারেজ ও রদ্রিগেজ ডি পল কে নিয়ে এই অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবেই একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগ। আইএফএ কোনও ভাবেই এই উদ্যোগে জড়িত ছিলনা। কেউ এই উদ্যোগ নিয়ে আইএফএর অনুমতি ও পরামর্শ নেয়নি। আমরা সমস্ত ক্রীড়ামোদী মানুষকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।'
ঠিক একই বক্তব্য এআইএফএফেরও। সোশাল মিডিয়ায় তাদের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, মেসিকে দেখতে যুবভারতীতে যে হাজার হাজার সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে ফেডারেশন উদ্বিগ্ন। বেসরকারি সংস্থার এই আয়োজনে যে ফেডারেশন কোনওভাবে যুক্ত নয়, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা। এআইএফএফ থেকে লেখা হয়েছে, 'এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার সঙ্গে আমরা যুক্ত নই। এমনকী এই অনুষ্ঠান নিয়ে এআইএফএফের সঙ্গে যোগযোগ করা হয়নি কিংবা ফেডারেশনের তরফ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।' এই বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতিতেও যাতে কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে বলছে ফেডারেশন।
উল্লেখ্য, চড়া দামে টিকিট কেটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভিআইপিদের ভিড়ে যখন মেসির একঝলক দেখা পাওয়াটা দুষ্কর, সেই সময়েই গ্যালারির পারদ চড়তে থাকে। সম্ভবত দর্শকদের ক্ষোভ আঁচ করতে পেরেই নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ থেকে মেসিকে বের করে নেন আয়োজকরা। আর ধৈর্য্য ধরতে পারেননি মেসির ভক্তরা। মাঠে বোতল ছুঁড়তে থাকেন, গ্যালারিতে থাকা মেসির ছবি দেওয়া ব্যানার ছিড়ে ফেলেন। এখানেই শেষ নয়। মাঠের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন উন্মত্ত জনতা। গ্যালারির সিট ভেঙে ছুড়ে ফেলতে থাকেন মাঠের ভিতরে। মাঠের ভিতরে ঢুকে হাতের কাছে যা পেয়েছেন তাই দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন মেসিভক্তরা। ভেঙে দেওয়া হয় প্লেয়ারদের টানেল, ক্যানোপি। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা যুবভারতী ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে যান মেসি।
