সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাদা একটা টিকিট হবে? ময়দানে, মোহনবাগানের ফ্যানক্লাবগুলির সোশাল মিডিয়া গ্রুপে প্রতি মুহূর্তে এই আকুতিগুলি ভেসে উঠছে। বস্তুত আইএসএল ফাইনালের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই টিকিটের হাহাকারের পুরনো ছবি ফিরছে বাংলার ফুটবল মহলে। সমস্যা হল, এই হাহাকার মেটার নয়। বরং আরও বাড়তে চলেছে। কারণ আইএসএল কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে জানিয়ে দিল, ফাইনালের আর কোনও টিকিট অবশিষ্ট নেই। যা ছিল সোল্ড আউট, সব নিঃশেষিত!

আসলে টেকনিক্যালি এই ম্যাচটা মোহনবাগানের হোম ম্যাচ নয়। প্রতিযোগিতার ফাইনাল হওয়ায় এই ম্যাচের আয়োজক এফএসডিএল। স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের নিয়ন্ত্রণ করছে এফএসডিএলই। এই ম্যাচে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরুকে সমান সংখ্যক টিকিট দেবে তারা। যাতে মোহনবাগান সদস্যরা টিকিট পান তার জন্য মোহনবাগান ক্লাব থেকে এফএসডিএলের থেকে টিকিট কিনে নেওয়া হয়েছে। এই টিকিট সদস্যদের কিনতে হবে টাকা দিয়ে।
তবে আগে লিগের ম্যাচগুলো একশো টাকার বিনিময়ে টিকিট পেতেন সদস্যরা। এবার যেহেতু এফএসডিএল টিকিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তাই দামটা হয়ত একটু বেশি দিতে হবে। সমস্যা হল বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে প্রথম লটের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরুর দুঘণ্টার মধ্যেই তা নিঃশেষ হয়ে যায়। সেটার পরও মোহনবাগান সমর্থকরা আশায় ছিলেন, হয়তো পরে আরও টিকিট ছাড়া হবে। কিন্তু আইএসএলের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে জানিয়ে দেওয়া হল, আর কোনও টিকিট অবশিষ্ট নেই। সব শেষ।
সেমিফাইনালে স্টেডিয়াম ভরিয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মোহনবাগান সমর্থক। ফাইনালেও যুবভারতী ভরিয়ে দিতে প্রস্তুত সবুজ-মেরুন জনতা। সমস্যা হল, টিকিটই মিলছে না। ভিআইপি বা ভিভিআইপি গ্যালারির টিকিট বিক্রিই হয়নি। ফলে কীভাবে খেলা দেখবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না মোহনবাগান সমর্থকরা। এসবের মধ্যে খবর, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনলাইনে কেনা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন ফুটবলভক্তরা।