সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখে বলিরেখা স্পষ্ট। মাথায় যেন 'তুষার-ধবল কেশ'! দাড়িও পেকেছে। কিন্তু এখনও বেশ শক্তপোক্ত। মনের জোরও প্রবল। সেই জোর নিয়েই বুড়ো বয়সেও চুটিয়ে খেলছেন পেশাদার ফুটবল। তিনি কাজুয়োশি মিউরা। দু'মাস পরেই তাঁর বয়স ৫৯ বছরে পড়বে। এই বয়সেও তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ফুকুশিমা ইউনাইটেডের সঙ্গে।
ভক্তদের কাছে তিনি পরিচিত 'কিং কাজু' নামে। এবার তাঁকে দেখা যাবে জাপানের তৃতীয় ডিভিশনের ক্লাবে। এটা তাঁর ৪১তম পেশাদার ফুটবল মরশুম হতে চলেছে। ষাট ছুঁইছুঁই বয়সে ফুকুশিমায় যোগ দিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে কাজু বলছেন, "এখানে যোগ দিতে পেরে খুব খুশি। নতুন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় রয়েছি। সকলে মিলে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা রয়েছি। যত বয়সই হোক না কেন, ফুটবলের প্রতি এই আবেগ কোনওদিনও কমবে না।"
জাপানি ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি হিসাবে দেখা হয় তাঁকে। দেশের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৫৫টি গোলও করেছেন তিনি। এমনকী দেশের হয়ে ফুটসলও খেলেছেন ২০১২ সালে। সেই ১৯৮০ সাল থেকে পেশাদার ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত তিনি। শুরুতেই ছিলেন ব্রাজিলীয় ক্লাব স্যান্টোসে। খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া, ইটালি, ক্রোয়েশিয়ায়। ২০০৫ সালে তিনি জাপানে ফিরে যোগ দিয়েছিলেন ইয়োকোহামায়। তখন থেকে জাপানের বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন কাজু।
১৯৯২ সালে এশিয়ার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালে জে লিগের সবচেয়ে মূল্যবান ফুটবলারও ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে জে লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন কাজু। এখানেই শেষ নয়, ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পেশাদার ম্যাচে গোলদাতা হওয়ার নজিরও তাঁর নামে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রবীণতম পেশাদার ফুটবলার কাজুই। ফুকুশিমা ইউনাইটেডে সই করার পর নেটিজেনরা তাঁকে 'নটআউট কাজু' বলেও ডাকা শুরু করেছেন।
