সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বেঙ্গল সুপার লিগ। এখন চলছে ট্রফি ট্যুর। রবিবার প্রথমেই বেঙ্গল সুপার লিগের সুদৃশ্য ট্রফি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও উত্তর চব্বিশ পরগনার ফুটবলপ্রেমীদের। নৈহাটি স্টেডিয়ামে আধ ঘণ্টা রাখার পর বড়মার মন্দিরে বিএসএল ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেদিনের ট্রফি ট্যুরে সঙ্গী হয়েছিলেন অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরী এবং অভিনেত্রী সোনালি চৌধুরী। নৈহাটিতে বড়মার কাছে পুজোও দেওয়া হয়েছিল। এবার তারাপীঠেও পৌঁছল বিএসএল ট্রফি।
১৪ ডিসেম্বর, রবিবার থেকে শুরু হতে চলেছে প্রতিযোগিতা। তার আগে বিএসএলের ট্রফি এসে পৌঁছায় তারাপীঠে। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্যামৌপ্তি মুদলি। এমনকী তারাপীঠ মন্দিরে তারামায়ের সামনেও ট্রফি নিয়ে আসা হয়। সেখানে পুজো দেওয়া হয়। ছিলেন বিএসএলের আয়োজক শ্রাচী স্পোর্টসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল টোডি রাহুল টোডি এবং শিবাজি পাঁজা। তারামায়ের আশীর্বাদ নিয়ে ফের যাত্রা শুরু হয় ট্রফির। সেখানকার ফুটবলপ্রেমীদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হল বিএসএল ট্রফি। উৎসাহী ফুটবলপ্রেমীরা ভিড় জমিয়েছিলেন ট্রফি দেখতে।
টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত এই ট্রফি ট্যুর হবে সেই সব জেলায়, যেখান থেকে বিএসএলে প্রতিনিধিত্ব করবে দলগুলো। সেই লক্ষ্যেই বিএসএলের ট্রফি পৌঁছায় বহরমপুরের এলএমইটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দেয়। তাছাড়াও বহরমপুরে জেএইচআর রয়্যাল সিটি এফসি'র মালিক বিএসএল ট্রফি ট্যুরে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন ট্রফি ট্যুরে সঙ্গী হয়েছিলেন অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরীও।
এর আগে ট্রফি গিয়েছিল হাওড়া ও মেদিনীপুরে। বর্ধমান ও দুর্গাপুরের ফুটবলপ্রেমীরাও বিএসএল ট্রফি দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর তারাপীঠে নিয়ে আসা হল বিএসএল ট্রফি। তার পরের দিন বহরমপুর। সেখান থেকে ১২ নভেম্বর বিএসএল ট্রফি যাওয়ার কথা শিলিগুড়িতে। পরের দিন আসবে মালদায়। আপাতত বিএসএল নিয়ে জেলায় জেলায় উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। উল্লেখ্য, জেলার আট ফ্রাঞ্চাইজি অংশ নেবে প্রথমবারের বেঙ্গল সুপার লিগে।
বেঙ্গল সুপার লিগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রথম ম্যাচ থেকেই এএআর পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। এএআর পদ্ধতি হল ‘অ্যাডিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স রেফারিং’ পদ্ধতি। সাধারণত একটা ফুটবল ম্যাচে এক জন রেফারি, দু’জন সহকারী রেফারি ও একজন চতুর্থ রেফারি থাকে। কিন্তু ‘ল অফ দ্য গেম’ অনুযায়ী মাঠে আরও দু’জন অতিরিক্ত সহকারী রেফারি রাখা যায়। দুই গোল পোস্টের পিছনে অবস্থান হয় এই অতিরিক্ত সহকারীদের। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘এএআর’। এবার সেই ‘এএআর’ পদ্ধতি মেনেই বিএসএলে প্রতি ম্যাচে সহকারী মিলিয়ে মোট ছ’জন করে রেফারি থাকতে চলেছে। যদিও এই পদ্ধতিতেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ পরিচালনা যিনি করেন, তিনিই। বাকিরা সবাই তাঁকে সাহায্য করেন। দেশে এই প্রথম প্রয়োগ হতে চলেছে এই পদ্ধতি।
