স্টাফ রিপোর্টার: প্রথমবার বাংলায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বেঙ্গল সুপার লিগ। এই লিগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক পরিকল্পনা করেছেন আয়োজকরা। তার মধ্যে অন্যতম ট্রফি ট্যুর। রবিবার থেকে বিএসএলের ট্রফি ট্যুর শুরু হয়ে গেল। এদিন প্রথমেই বেঙ্গল সুপার লিগের সুদৃশ্য ট্রফি দেখার সৌভাগ্য হল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও উত্তর চব্বিশ পরগনার ফুটবলপ্রেমীদের। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত এই ট্রফি ট্যুর হবে সেই সব জেলায়, যেখান থেকে বিএসএলে প্রতিনিধিত্ব করবে দলগুলো।
রবিবার সকালে বিএসএলের ট্রফি এসে পৌঁছায় ক্যানিং স্টেডিয়ামে। এই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে বিএসএলে খেলতে দেখা যাবে সুন্দরবন বেঙ্গল অটো এফসিকে। সেখানে দু'ঘণ্টা ট্রফি রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ট্রফি আনা হয় নৈহাটি স্টেডিয়ামে। উত্তর চব্বিশ পরগনার প্রতিনিধিত্ব করবে উত্তর চব্বিশ পরগনা এফসি। তাই জেলার ফুটবলপ্রেমীদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হল বিএসএল ট্রফি। নৈহাটি স্টেডিয়ামে আধ ঘণ্টা রাখার পর বড়মার মন্দিরে বিএসএল ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও উৎসাহী ফুটবলপ্রেমীরা ভিড় জমিয়েছিলেন ট্রফি দেখতে। এদিন ট্রফি ট্যুরে সঙ্গী হয়েছিলেন অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরী ও অভিনেত্রী সোনালি চৌধুরী।
দ্বিতীয় দিন এই ট্রফি যাচ্ছে হাওড়া ও মেদিনীপুরে। পরের দিন বর্ধমান ও দুর্গাপুরের ফুটবলপ্রেমীরা বিএসএল ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন। ১০ ডিসেম্বর বোলপুর ও তারাপীঠে নিয়ে যাওয়ার কথা বিএসএল ট্রফি। তার পরের দিন বহরমপুর। সেখান থেকে ১২ নভেম্বর বিএসএল ট্রফি যাবে শিলিগুড়িতে। পরের দিন আসবে মালদায়। বিএসএলের প্রথম দিনের ট্রফি ট্যুরে ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহ দেখে বিএসএলের আয়োজক শ্রাচী স্পোর্টসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল টোডি বলেন, “ভারতীয় ফুটবলের হৃদস্পন্দন হল বাংলা। বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এই ট্রফিটা নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই ট্রফি ট্যুর বাংলার সেইসব ফুটবলপ্রেমী উদ্দেশ্যে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি, যারা প্রথম দিন থেকে বিএসএলের সঙ্গে একাত্বতা বোধ করছেন।” জেলার আট ফ্রাঞ্চাইজি অংশ নেবে প্রথমবারের বেঙ্গল সুপার লিগে।
বেঙ্গল সুপার লিগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রথম ম্যাচ থেকেই এএআর পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। এএআর পদ্ধতি হল ‘অ্যাডিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স রেফারিং’ পদ্ধতি। সাধারণত একটা ফুটবল ম্যাচে এক জন রেফারি, দু'জন সহকারী রেফারি ও একজন চতুর্থ রেফারি থাকে। কিন্তু ‘ল অফ দ্য গেম’ অনুযায়ী মাঠে আরও দু’জন অতিরিক্ত সহকারী রেফারি রাখা যায়। দুই গোল পোস্টের পিছনে অবস্থান হয় এই অতিরিক্ত সহকারীদের। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘এএআর’। এবার সেই ‘এএআর’ পদ্ধতি মেনেই বিএসএলে প্রতি ম্যাচে সহকারী মিলিয়ে মোট ছ'জন করে রেফারি থাকতে চলেছে। যদিও এই পদ্ধতিতেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ পরিচালনা যিনি করেন, তিনিই। বাকিরা সবাই তাঁকে সাহায্য করেন। দেশে এই প্রথম প্রয়োগ হতে চলেছে এই পদ্ধতি।
