সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাণ্ডবীর জলে নিভেছে মশাল। একগুচ্ছ গোল মিস করে সুপার কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৬ গোলে ইস্টবেঙ্গলের পরাজয়। অথচ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটা নির্ধারিত সময়ে অনায়াসে পকেটে পুরে ফেলতে পারত লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে গোল মিসের প্রদর্শনী সাজালেন হিরোশি ইবুসুকিরা। ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ড লাইনের এই দুরবস্থায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রাক্তন ফুটবলার অ্যালভিটো ডু'কুনহা। তাঁর বক্তব্য হিরোশির থেকে 'খেপের মাঠের ফুটবলার'রা ভালো।
৬২ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলও। বিপিন সিং ঠিকানা লেখা পাস বাড়িয়েছিলেন হিরোশিকে লক্ষ্য করে। কিন্তু জাপানি স্ট্রাইকার গোয়ার গোলকিপার হৃত্বিককে গোলকিপিং প্র্যাকটিস করালেন। এটা তো একটা ঘটনা। গোটা ম্যাচ জুড়ে মনে হল, হিরোশি আনফিট। ড্রিবল তো দূরের কথা, ঠিকভাবে টার্ন করতে পারছেন না। রক্ষণকে বোকা বানিয়ে মাঝখান দিয়ে দৌড়ের তো প্রশ্নই ওঠে না।
সেসব নিয়ে কলকাতার একটি অনুষ্ঠানের পর লাল-হলুদের প্রাক্তনী অ্যালভিটো বলছেন, "ইস্টবেঙ্গল যদি কোনও টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে চায়, তাহলে অবিলম্বে হিরোশিকে বদলাতে হবে। গোটা ম্যাচে ওর কোনও ভূমিকাই ছিল না। একটা সুযোগ হেডে পেয়েছিল, সেটাও মিস করেছে। কী করে যে এরা ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় দলে সুযোগ পায়, সেটাই আশ্চর্যের। ম্যানেজমেন্ট আনুক আর যেই আনুক, ভুগছে তো ইস্টবেঙ্গলই। আমি তো বলব, খেপের ফুটবলাররা হিরোশির চেয়ে ভালো খেলবে। তারা অন্তত এটা জানে যে ইস্টবেঙ্গল কত বড় ক্লাব।"
সোমবার কলকাতার একটি ম্যারাথন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যারোটো-অ্যালভিটোরা। ছবি: অপ্রতিম পাল।
এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় সেটাও বলছেন অ্যালভি। তাঁর বক্তব্য, "আমি তো বলব দিয়ামান্তোকোসকে ছেড়ে দেওয়া ভুল হয়েছে। হামিদ হয়তো কয়েকটা ম্যাচে গোল করেছে। কিন্তু ও তো চোটে জর্জরিত। একটা পেনাল্টি মারার পর কেউ যদি চোট পায়, তাহলে তো সেটা হাস্যকর। কিন্তু আমার কাছে বিষয়টা হাসির না। আমার কষ্ট হয়। যত তাড়াতাড়ি হিরোশির বিকল্প পাওয়া যাবে, তত মঙ্গল। এবার দল ভালো, ডিফেন্স খুবই ভালো। শুধু একটা জায়গা বদলালেই সাফল্য আসবে।"
