সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার। অক্টোবরে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হতে হবে ভারতকে। তার আগে জাতীয় দলের স্বার্থে ফেডারেশনের সঙ্গে আইএসএলের দলগুলির দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানালেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ খালিদ জামিল। জানালেন, ক্লাবগুলোর উচিত ফুটবলারদের ছাড়বে কি না, তা আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, "দল হিসাবেই আমরা প্রস্তুতি নিই। আমাদের দল কখনওই ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নয়। তবুও কিছু পজিশনে কয়েকজন খেলোয়াড়ের না থাকাটা প্রভাব ফেলছে। অনুশীলনেও ব্যাঘাত ঘটছে। কিছু ফুটবলার ধাপে ধাপে অনুশীলনে যোগ দেবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যাতে সেরা দল গঠন করা যায়। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে ক্লাব এবং জাতীয় দলের মধ্যে সামঞ্জস্য এবং দায়বদ্ধতা বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেই মনে করি।"
বেঙ্গালুরু এফসি, ইস্টবেঙ্গল এবং পাঞ্জাব এফসি জাতীয় শিবিরের জন্য ফুটবলার ছেড়ে দিতে দেরি করেছে। এর মধ্যে ১৪ জন চলতি মাসের শেষের দিকে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মোহনবাগান, এফসি গোয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু খেলছে। তাই এই দুই দলের ফুটবলারদের আপাতত দলে রাখেননি খালিদ।
এই প্রসঙ্গে খালিদের সংযোজন, "মোহনবাগান এবং এফসি গোয়া আগে থেকেই অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছিল। ওদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। আমরা তা পুরোপুরি সম্মান করি। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাও করি। আশা করি ভবিষ্যতে সমস্ত ক্লাবই স্পষ্টতা বজায় রেখে আগে থেকেই জানিয়ে দেবে ফুটবলার ছাড়বে কি না। ক্লাবগুলির থেকে স্পষ্ট বার্তা পেলেই বুঝতে পারব কোন ফুটবলারদের পাব। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাও সাজাতে পারব।"
উল্লেখ্য, ভারতীয় ফুটবলের অত্যন্ত কঠিন সময়ে দলের হাল ধরেছিলেন খালিদ। তাঁর কোচিংয়ে কাফা নেশনস কাপে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছিল ভারত। ৯ অক্টোবর এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে সিঙ্গাপুরের মাঠে প্রথম ম্যাচ ভারতের। তারপর ১৪ অক্টোবর ঘরের মাঠে ফিরতি ম্যাচ। ম্যাচগুলি নিয়ে এখন থেকেই মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় ফুটবল দলের হেডকোচ।
