সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি এখন কেরিয়ারের শেষ অধ্যায়ের পাতা উলটে-পালটে দেখছেন। কিন্তু হাজার গোলের লক্ষ্যপূরণ না হলে তিনি যে বুটজোড়া তুলে রাখবেন না, সে কথাও বলেছেন। বছরের শেষ ম্যাচে আবারও গোলের দেখা পেয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে ভাগ্যের ছোঁয়ায়। গোলের পর ভিন্ডেজ সিউউ সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। আর এখানেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নেটিজেনরা বলছেন, 'পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা'র মতো গোল পেয়ে নির্লজ্জের মতো 'সিউউ' সেলিব্রেশন করেছেন সিআর৭।
মঙ্গলবার সৌদি প্রো লিগে আল ইত্তিফাকের বিরুদ্ধে নেমেছিল আল নাসের। ১৬ মিনিটে ডাচ ফুটবলার জর্জিনিয়ো ওয়াইনালডামের গোলে পিছিয়ে পড়ে রোনাল্ডোর দল। তবে ৪৭ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপরেই আসে বিতর্কিত সেই মুহূর্ত। ম্যাচের বয়স তখন ৬৭ মিনিট। রোনাল্ডোর হোলে এগিয়ে যায় আল নাসের। যদিও এই গোলের ক্ষেত্রে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন তিনি।
পরিষ্কারভাবে বললে, গোলটির ক্ষেত্রে সিংহভাগ কৃতিত্ব ফেলিক্সের। হেড করার চেষ্টায় প্রথমে বক্সের মধ্যে পড়ে যান রোনাল্ডো। তবে জটলার মধ্যে থেকে উঠে দাঁড়ান তিনি। সেই সময় শট নেন ফেলিক্স। তাঁর শট পিঠে লেগে দিক পালটে বিপক্ষের জালে জড়িয়ে যায়। গোলের পর পর্তুগিজ মহাতারকা কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে ছুটে যান। ট্রেডমার্ক 'সিউউ' সেলিব্রেশনও করেন। যা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার হয়েছেন।
এক নেটিজেন লিখছেন, 'অত্যন্ত স্বার্থপরের মতো আচরণ। হাজার গোলের মাইলফলক অর্জনের জন্য যা খুশি তাই করা যায় না।' আরেকজনের কথায়, 'আমার আইডলের কাছে এমন আচরণ আশা করি না।' আরও এক নেট নাগরিক বলেন, 'দলের নীতির চেয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলককে অগ্রাধিকার দেন রোনাল্ডো।' রোনাল্ডো ভাগ্যের জোরে গোল পেলেও আল নাসের জিততে পারেনি। আল ইত্তিফাকের বিরুদ্ধে ম্যাচটি শেষ হয় ২-২ অবস্থায়।
সৌদি প্রো লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসাবে টানা ১০ ম্যাচ জিতলেও একাদশ ম্যাচে পয়েন্ট হারাল আল নাসের। হাজার গোলের লক্ষ্যে ছোটা রোনাল্ডোর গোল সংখ্যা এখন ৯৫৭টি। চলতি বছর ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৪৬ ম্যাচে ৪১ গোল করেছেন তিনি। তাছাড়াও ১১ ম্যাচে ১৩ গোল করে সৌদি প্রো লিগে ফেলিক্সের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ স্কোরারও রোনাল্ডো। উল্লেখ্য, গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে টানা তিনবার মধ্যপ্রাচ্যের সেরা হয়েছিলেন রোনাল্ডো। পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেছিলেন, "আমার লক্ষ্য আরও বড়। আরও খেলতে চাই। কোথায় খেলছি সেটা কথা না। আমি ফুটবল খেলতে সব সময় উপভোগ করি। আরও ট্রফি জিততে চাই। ১০০০ গোলের রেকর্ড ছুঁতে চাই। যদি কোনও চোট-আঘাত না পাই, তাহলে সেই সংখ্যায় পৌঁছে যাব।" অর্থাৎ হাজার গোল না হলে তিনি যে অবসর নেবেন না, তা অনুমেয়। তবে সেই সব ছাপিয়ে আল ইত্তেফাকের বিরুদ্ধে ভাগ্যের সহায়তায় গোল পেয়েও তাঁর সেলিব্রেশনের ধরন।
