ইস্টবেঙ্গল: ৪ (সিবিয়ে, বিপিন ২, হিরোশি)
চেন্নাইয়িন: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের ফলাফল একটু এদিক-ওদিক হলেই সমস্যা বাড়ত। ইস্টবেঙ্গলের সুপার কাপ অভিযান নিয়ে তো কম বিতর্ক হচ্ছে না! তার মধ্যে প্রথম ম্যাচে বিদেশিহীন ডেম্পোর সঙ্গে ড্র করে নিজেদের রাস্তা কঠিন করেছে অস্কার ব্রুজোর দল। এই পরিস্থিতিতে চেন্নাইয়িন এফসি'র বিরুদ্ধে ফলাফল পক্ষে না গেলে সেমির পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারত। সেটা অবশ্য হতে দিলেন না নাওরেম মহেশ সিংরা। তাঁর অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিকে বাম্বোলিমে একতরফা জিতল মশাল বাহিনী। বিপিন সিংয়ের জোড়া গোল, কেভিন সিবিয়ে ও হিরোশি ইবুসুকির গোলে ৪-০ ব্যবধানে জিতল ইস্টবেঙ্গল। এরপর সব নজর মোহনবাগানের ম্যাচ ও তার পরবর্তী ডার্বিতে।
প্রথম ম্যাচে ড্র করায় এই ম্যাচে কোনও ঝুঁকিই নিতে চাননি অস্কার। হামিদ আহদাদ, মিগুয়েল ফিগুয়েরা-সহ প্রথম একাদশে চার বিদেশিকে রেখেছিলেন। জয় গুপ্তাও শুরু থেকেই ছিলেন। তবে ২ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত চেন্নাইয়িনই। ফারুক চৌধুরী হঠাৎ বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে যান। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার প্রভসুখন সিং গিল। এই ধাক্কাটা বোধহয় দরকার ছিল লাল-হলুদের। সেখান থেকে ম্যাচের রাশ হাতে নেয় তারা। মাঝমাঠে ক্রেসপো ও মহেশের যুগলবন্দিতে বল ঘোরাফেরা করতে থাকে বিদেশিহীন চেন্নাইয়িনের অর্ধে। তবে মিগুয়েল-হামিদ জুটি এখনও দানা বাঁধেনি। ফলে বারবার আক্রমণ সত্ত্বেও গোলের দেখা মিলছিল না। এর মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করা হয়।
অবশেষে 'ডেডলক' খুলল ৩৪ মিনিটে। মহেশের নিঁখুত ফ্রি-কিক সোজা এসে পড়ে সিবিয়ের মাথায়। তিনি শুধু দিকনির্দেশ করে বল জালে জড়িয়ে দেন। লাল-হলুদ জার্সিতে আর্জেন্তিনীয় ডিফেন্ডারের এটা প্রথম গোল। এরপর ৩৯ মিনিট। এবার মহেশ পাস বাড়ালেন ডান দিক থেকে। প্রীতম কোটাল, রাজ বাসফোরদের দিয়ে সাজানো রক্ষণকে এক লাইনে রেখে ব্যবধান বাড়ান বিপিন সিং। দুই উইংয়ের যুগলবন্দি ফের দেখা গেল হাফটাইমের ঠিক আগে। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে বাঁদিকের উইংয়ে খেলা ছড়ালেন মহেশ। মাঝে হামিদ বলে পা লাগানোর চেষ্টা করেও পেলেন না। কিন্তু বিপিন ঠিকই পেলেন। এবং ইস্টবেঙ্গলের জন্য ৩-০ করে দিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল হয়নি। শেষদিকে নেমে হিরোশির একটি দূরপাল্লার শট বারে লেগে ফেরে। পরে পেনাল্টি থেকে ৪-০ করেন 'জাপানি বোমা'। এটা তাঁরও লাল-হলুদ জার্সিতে প্রথম গোল।
ডার্বিতে নামার আগে বড় জয় ইস্টবেঙ্গলকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এরপর মোহনবাগান ডেম্পোর মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচে সবুজ-মেরুন বাহিনী জিতলে সেমির দৌড়ে ডার্বিতে তাদের ড্র করলেই হবে। ফলে সব নজর এখন ৩১ অক্টোবরের ডার্বিতেই।
