আর্কাদগ এফসি: ২ (আন্নাদুরদিয়েভ-পেনাল্টি, হাইড্রো)
ইস্টবেঙ্গল: ১ (মেসি বাউলি)
সবমিলিয়ে ৩-১ গোলে জয়ী আর্কাদগ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশের প্রতিকূল পরিবেশে দশজনে মিলে দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও তীরে এসে তরী ডুবল ইস্টবেঙ্গলের। তুর্কমেনিস্তানের সেরা ক্লাব আর্কাদগ এফসির কাছে হেরে আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের স্বপ্ন হাতছাড়া করলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসরা। এফসি চ্যালেঞ্জ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। আবারও গোল নষ্টের রোগে ভুগে ট্রফি অধরা থাকল লাল-হলুদ ব্রিগেডের।
কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে জটিল সমস্যায় ছিল ইস্টবেঙ্গল। যে মাঠে অনুশীলন করতে দেওয়া হয়, তার অবস্থা খুবই খারাপ। অসমান মাঠে অনুশীলন করলে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এমনকি হোটেলেও কার্যত বন্দি ছিলেন ফুটবলাররা। তবে এদিন মাঠে নেমে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মেসি বাউলিরা। যুবভারতীতে ১-০ হারলেও এদিন সেই ফলাফল উলটে দেওয়ার তাগিদ ছিল ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সে। কিন্তু বিদেশের প্রতিকূলতা সামলে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হেরে ফিরতে হল অস্কার ব্রুজোর দলকে।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। দিয়ামানতাকোসের পাস থেকে আলতো শটে গোল করেন লাল-হলুদের নয়নমণি। তারপর থেকে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ আসে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। সহজ বল গোলে ঠেলতে পারেননি। মাঝমাঠ থেকে উঠে আসা রিচার্ড সেলিসের দুরন্ত শট বারে লাগে। গোল নষ্টের মাঝেই গোদের উপর বিষফোঁড়া লালচুননুঙ্গার লাল কার্ড। ৩৩ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে রক্ষণ জমাট করে আর্কাদগকে আটকে রাখার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ১০ জনের বিরুদ্ধে খেললেও ঘরের মাঠে ফায়দা তুলতে পারেনি তুর্কমেনিস্তানের দল। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ৮৭ মিনিটে এসে সৌভিক চক্রবর্তীর ফাউলে পড়ে যান তির্কিশভ। পেনাল্টি থেকে গোল করলেন আন্নাদুরদিয়েভ। গোল হজম করে কাঁধ ঝুলে যায় গোটা লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ভেঙে পড়া ইস্টবেঙ্গলের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে ৯৬ মিনিটে গোল করেন হাইড্রো। শেষ পর্যন্ত ২-১ ফলে ম্যাচ হারলেন জিকসন সিংরা। সবমিলিয়ে ৩-১ হেরে এফসি স্বপ্ন ভাঙল ইস্টবেঙ্গলের।
