সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কোরলাইন বলছে ম্যাচটা ১-২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছে ভারত। কিন্তু হেরে গেলেও মাঝেমাঝে কুর্নিশ জানাতে হয়। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৮০ ধাপ এগিয়ে কাতার। সেই কাতারের বিরুদ্ধে নজরকাড়া ফুটবল উপহার দিল ভারতের যুবরা। শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলা বলে অতি রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে খেলা নয়। বরং ধারেভারে অনেক এগিয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে মাঠে ফুল ফোটালেন নিকসন, সুহেল, নামতে, শাননরা।
দোহার আবদুল্লা বিন খলিফা স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারে গ্রুপ এইচের ম্যাচের ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় কাতার। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন আল হাশমি মহিয়ালদিন। কাতার এগিয়ে যাওয়ার পর থেকেই মাঝমাঠ দখল নেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৪১ মিনিটে ডানদিক থেকে পার্থিব গগৈয়ের একটা ক্রস কাতার ডিফেন্সকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আরও একটা সুযোগ পায় ভারত। কাতারের গোলরক্ষক আলি মহম্মদ গুলাইস তা বিপদমুক্ত করেন।
হাল ছাড়েননি 'ব্লু কোল্টস'রা। ৫২ মিনিটে দুরন্ত হেডে গোল করে ভারতকে সমতায় ফেরান মহম্মদ সুহেল। ততক্ষণে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ভারতেরই অনুকূলে। কিন্তু হঠাৎই তাল কাটে। ৬৫ মিনিটে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। লাল কার্ড দেখেন পরমবীর। পেনাল্টি পায় কাতার। ৬৭ মিনিটে এই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জাসেম আল শারশানি। এগিয়ে যায় কাতার। ১০ জনে হয়ে যাওয়া ভারত দমে যায়নি। লড়ে গিয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। ৫১ শতাংশ বল পজিশন ছিল ভারতের পক্ষে। ইনজুরি সময়ে একটা কর্নারও পায় ভারত। সেটাই ছিল শেষ সুযোগ। গোল হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে পরাজিত হয় ভারত।
ম্যাচ থেকে পাওনা ভারতীয় যুবদের হার না মানা মানসিকতা, সুহেলের অনবদ্য গোল, শাননের উইং ধরে একের পর এক আক্রমণ, সাহিলের দুর্দান্ত গোলকিপিং। সমস্ত কিছুই প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে। হেরে গেলেও এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যাওয়ার রাস্তা এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি ভারতের। ৯ সেপ্টেম্বর ব্রুনেইয়ের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিততে হবে ভারতকে। উল্লেখ্য, ১১টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল ছাড়াও চার সেরা গ্রুপ রানার্স দল সুযোগ পাবে মূলপর্বে যাওয়ার।
