সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন রূপকথার গল্প। একদিকে ম্যাঞ্চস্টার সিটি। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল দলগুলির মধ্যে অন্যতম। যে দলের কোচ খোদ পেপ গুয়ার্দিওলা। যে দলে রয়েছেন এর্লিং হালান্ডের মতো বিশ্বের প্রথম সারির তারকা। প্রতিপক্ষ ক্রিস্টাল প্যালেস। লন্ডনের এক আপাত অখ্যাত ক্লাব। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যারা এখনও পড়ে ১২ নম্বর স্থানে। স্রেফ অদম্য লড়াই এবং ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে মহাশক্তিশালী সিটিকে হারিয়ে দিল সেই প্যালেস। ১২০ বছর বাদে ইংলিশ ফুটবলের প্রথম সারির কোনও খেতাব জিতল প্যালেস।
এমনিতে এই মরশুমে ভালো ফর্মে নেই সিটি। তবে খারাপ ফর্মে থাকা সিটিও যে কোনওদিন প্যালসের বিরুদ্ধে ফেভারিট। শনিবার রাতে এফএ কাপ ফাইনালে যে সিটি হারতে পারে সেটা অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু এদিন ভাগ্যদেবতা সহায় ছিল ইগলসদের। ম্যাচের ১৫ মিনিটে খানিকটা খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে গোল করে প্যালেসকে এগিয়ে দেন এবেড়চি এজে। এরপর অদম্য জেদ আর লড়াকু মানসিকতায় রক্ষণ শুরু। ভাগ্যও সঙ্গ দিয়েছে প্যালেসের। তাঁদের গোলরক্ষক বক্সের বাইরে হ্যান্ডবল করেও লালকার্ড এড়িয়ে যান। আবার সিটি পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেনি। হেন্ডারসন সেই শট বাঁচিয়ে দেন। আসলে পেপ এদিন অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে গিয়ে ডুবলেন। গোটা ম্যাচে গোলই তুলতে পারল না সিটি।
এর আগে দুবার এফএ কাপ ফাইনালে উঠে হতাশা সঙ্গী হয়েছে প্যালেসের। অবশেষে এবার জয়ের স্বাদ পেল তারা। ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ইংলিশ ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ কোনও ট্রফি পেল লন্ডনের ক্লাবটি। এর আগে ২০১৫-১৬ মরশুম এবং ১৯৮৯-৯০ মরশুমের এফএ কাপ রানার্স আপ হয়েছিল ইগলসরা। FA কাপ জয়ের ফলে আগামী মরশুমে ইউরোপা লিগে খেলারও ছাড়পত্র পেল তাঁরা। মাত্র এক দশক আগে যে দল ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলত, সেই দলই এবার ইউরোপের মহাদেশীয় স্তরের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে খেলবে। রূপকথা নয়তো কী!
