বেঙ্গালুরু: ৩ (মেন্ডেজ, সুরেশ, সুনীল)
মোহনবাগান: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিফেন্স নিয়ে সমস্যা। এটা নতুন কথা নয় মোহনবাগানের জন্য। ডুরান্ড থেকে আইএসএল, সর্বত্র ডিফেন্স যন্ত্রণার হয়ে উঠেছে সবুজ-মেরুনের জন্য। কিন্তু তা বলে বেঙ্গালুরুতে এভাবে বিধ্বস্ত হতে হবে, সেটা বোধহয় মোলিনাও ভাবেননি। তবে শুধু ডিফেন্স কেন, মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ সব জায়গাতেই সমস্যা মোহনবাগানে। যার ফল বেঙ্গালুরুর কাছে ৩-০ গোলে হারল মোলিনার দল।
বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা সাধারণত পয়া মাঠ হিসেবে ধরা হয় মোহনবাগানের জন্য। এই মাঠেই আই লিগ জয়। গত আইএসএল মরশুমে এই মাঠেই ৪ গোল করেছিল হাবাসের দল। কিন্তু এদিন মোহনবাগান যে খেলাটা খেলল, তাতে চিন্তার ভাঁজ ছাড়া কিছুই প্রাপ্তি নেই সমর্থকদের। যা শুরু হয় কিক-অফের সামান্য পর থেকেই। তখনই বল পায়ে চলে আসে সুনীল ছেত্রীর। তাঁর দূরপাল্লার শটে হয়তো গোল হত না, কিন্তু ম্যাচের টিউন যেন ওখানেই ঠিক হয়ে যায়।
প্রমাণ পাওয়া গেল ৯ মিনিটের মধ্যে। বাঁদিক থেকে কর্নার থেকে গোল করে গেলেন বেঙ্গালুরুর মেন্ডেজ। তিনি যখন বল বল পাচ্ছেন, তখন আশেপাশে কেউ নেই। তাঁকে ঠিকমতো কভার করতে পারলেন না দীপেন্দু। বল মূহূর্তের মধ্যে জালে। দ্বিতীয় গোলের সময় জায়গাতেই ছিল না মোহনবাগানের বাঁদিকের ফুটবলাররা। দীপেন্দু-শুভাশিসদের পিছনে ফেলে দিব্যি ক্রস বাড়িয়ে দিলেন মেন্ডেজ। মাঝমাঠ থেকে উঠে এসে গোল করে গেলেন সুরেশ সিং।
সেভাবে পালটা আক্রমণ মোহনবাগানই বা তুলে আনতে পারল কোথায়? দিমির একটা ফ্রি কিক বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। বাকি সবই নির্বিষ শট। কামিন্স গোলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারছেন না। মাঝমাঠে গঠনমূলক ফুটবল নেই। উলটে নতুন তারকা ভিনিথ আর নিখিল পূজারীদের দৌড়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছিল মোহনবাগানের রক্ষণ-মাঝমাঠ। দ্বিতীয়ার্ধেও চেহারাটা বদলাল না। ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ৩-০ করলেন সুনীল ছেত্রী। যার দৌলতে আইএসএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেলেন সুনীল। পরে লিস্টন, জেমিকে নামিয়েও লাভের লাভ কিছু হল না। বিশাল কাইথ দুয়েকটা দুরন্ত সেভ না দিলে ব্যবধান আরও বাড়ত। চলতি আইএসএলে প্রথম হার নিয়েই বেঙ্গালুরু ছাড়বে মোহনবাগান।