শিলাজিৎ সরকার: দিন কয়েক আগেই কার্লেস কুয়াদ্রাতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলে লাল-হলুদের অবস্থাও ভালো না। টানা তিন ম্যাচে হার। এর মধ্যেই মুখোমুখি হতে হবে জামশেদপুর এফসির। এই ম্যাচে দায়িত্বে থাকবেন বিনো জর্জ। কিন্তু এর পর কোচ কে হবেন? কবেই বা আসবেন নতুন কোচ? সেই বিষয়ে মুখ খুললেন ইস্টবেঙ্গলের(East Bengal) শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।
গত তিন ম্যাচে (ISL 2024) বিশ্রী পারফরম্যান্স করেছে লাল-হলুদ বাহিনী। কোচের ভূমিকা যেমন প্রশ্নের মুখে, তেমনই ফুটবলারদের ফর্ম নিয়েও কথা উঠছে। এই প্রসঙ্গে দেবব্রত সরকার বলেন, "পরিবর্তন তো মাঠে দেখা যায়। সেটা তো আর মনের মধ্যে দেখা যায় না। প্লেয়াররা বুঝতে পেরেছে যে তাঁরা কী হারিয়েছে। পেশাদার প্লেয়ারদের নিজেদের দায়িত্বে পেশাদারিত্ব আনতে হয়। অফিশিয়াল বা কোচ তাঁদের বাইরের থেকে একটা সাপোর্ট দিতে পারে। তার বাইরে কিছু করতে পারে না।"
অথচ দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলাররা ইস্টবেঙ্গলে। গত মরশুমের আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সবচেয়ে অ্যাসিস্ট করা ফুটবলার রয়েছেন। জাতীয় দলের প্লেয়াররাও রয়েছেন লাল-হলুদে। কিন্তু তার পরও মাঠে কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। সামনেই জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ। দেবব্রত সরকারের বক্তব্য, "সব প্লেয়ারই দেশের সেরা প্লেয়ারদের মধ্যে একজন। এখন যারা খেলছে, আশা করব, তাঁরা জানে, এই ম্যাচে কী করতে হবে।"
এই ম্যাচে দায়িত্বে থাকবেন বিনো জর্জ। কিন্তু তার পর? অনেকের নামই শোনা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাব্য কোচ হিসেবে। কে হবেন লাল-হলুদের পরবর্তী কোচ? কবে তিনি যোগ দেবেন? দেবব্রত সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, "হেড কোচ হিসেবে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। কারা এসব বলছে জানি না। কুয়াদ্রাত নিজে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এটা তো খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এটার জন্য তৈরি ছিলাম না। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের একটু সময় লাগবে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি করে নেব।" ইস্টবেঙ্গল ভক্তরাও অপেক্ষা করে আছেন এই উত্তরের।